চিনের থেকে পাঁচগুণ বেশি স্কুল রয়েছে ভারতে, জানাল নীতি আয়োগের রিপোর্ট

চিনের থেকে পাঁচগুণ বেশি স্কুল রয়েছে ভারতে, জানাল নীতি আয়োগের রিপোর্ট

ভারতের স্কুল শিক্ষা নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট বেশ করেছে নীতি আয়োগ। তাতেই দেখা গেল, চিনের থেকে প্রায় পাঁচগুণ বেশি সংখ্যক স্কুল রয়েছে এদেশে। এদিকে স্কুলে ভরতি হওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা দুই দেশেই প্রায় সমান। এদিকে সম্প্রতি চিনের স্কুল নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়মের কড়াকড়ির জন্যে চিনের বহু বেসরকারি বা আন্তর্জাতিক স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা অন্য স্কুলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এদিকে চিনের ধীর গতির অর্থনীতি, বিদেশ পড়ুয়ার ঘাটতিও সেদেশের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলে উল্লেখ করা হয় রয়টার্সের রিপোর্টে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে চিনে ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। চিনের মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার নিরিখে যা একতৃতীয়াংশ ছিল। এই বেসরকারি স্কুলগুলিতে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ। এদিকে চিনের আন্তর্জাতিক স্কুলের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, বৈদেশিক পাসপোর্ট ধারকরাই শুধু সেখানে ভরতি হতে পারবে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড পরবর্তীকালে পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে সেই সব স্কুলে। এরই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিরও প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক স্কুলগুলির ওপরে। রিপোর্টে বলা হয়, কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে দ্রুত হারে স্কুলের সংখ্যা বাড়ছিল চিনে। এর মধ্যে প্রাইভেট ও আন্তর্জাতিক স্কুলগুলি দ্বিভাষী ছিল। আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হত সেখানে। তবে ২০২১ সালের নয়া নিয়মের জেরে সেই স্কুলগুলির ওপর খাড়া নেমে এসেছে। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে চিনে যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ স্কুল রয়েছে, সেখানে ভারতে স্কুলের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।

এদিকে নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বহু রাজ্যেই ৫০ শতাংশ প্রাথমিক স্কুলে গড় পড়ুয়া সংখ্যা ৬০ জনের মতো। সেই সব স্কুলে ১ বা ২ জন শিক্ষকই সবাইকে পড়াচ্ছেন এবং স্কুলের প্রশাসনিক দিকটাও দেখভাল করছেন। এই আবহে স্কুলগুলিকে মিশিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নীতি আয়েগের রিপোর্টে। এদিকে রাজ্যগুলিকে বড় বড় স্কুল স্থাপনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেই স্কুলের তরফেই যাতে বাসে করে পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে আনা-নেওয়া করা যায়, সেই ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

(Feed Source: hindustantimes.com)