সতীশ সিং হত্যাকাণ্ডে বড় ঘটনা, ভাই-বোন মিলে পুলিশকে খুন করেছে।

সতীশ সিং হত্যাকাণ্ডে বড় ঘটনা, ভাই-বোন মিলে পুলিশকে খুন করেছে।
প্যাটার্ন ছবি

এএনআই ইমেজ

পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য শ্যালক প্রথমে একটি সাইকেল কিনে টি-শার্ট পরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সতীশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে অভিযুক্তরা পলাতক। পলাতক হওয়ার পর সে তার সাইকেল ও জামাকাপড়ও রাশিতে ফেলে দেয়। পুলিশি তদন্তের সময় নজরদারি এড়াতে অভিযুক্ত তার মোবাইল বাড়িতে রেখে গিয়েছিল।

লখনউতে দিওয়ালির রাতে পিএসি ইন্সপেক্টর সতীশ সিংকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সতীশ কুমার সিং হত্যা মামলায় সামনে এসেছে বড়সড় তথ্য। খুনের অভিযোগে পুলিশ সতীশের শ্যালক দেবেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী ভাবনা সিংকে গ্রেপ্তার করেছে। স্ত্রী ও শ্যালক মিলে সতীশকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। ইন্সপেক্টর সতীশ কুমার সিং যখন গুলিবিদ্ধ হন, তখন তাঁর স্ত্রী ভাবনা ও মেয়ে গাড়িতে বসে ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী পুলিশ বলছে, স্বামীর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্ত্রীর পূর্ণ জ্ঞান ছিল। পুলিশ খাল থেকে একটি 32 বোরের পিস্তলও উদ্ধার করেছে যা দিয়ে সতীশকে তার শ্যালক গুলি করেছিলেন। অনেক নারীর সাথে সতীশ সিংয়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল, যার কারণে তাকে খুন করা হয়েছিল। সতীশের অবৈধ সম্পর্কের কারণে ভাবনার সাথে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না এবং উভয়ের মধ্যে অনেক মারামারি হয়েছিল। বোনকে মন খারাপ দেখে ভাই দেবেন্দ্র ইন্সপেক্টরকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন। ঘটনার রাতে ইন্সপেক্টরের অবস্থান জানতে অভিযুক্তরা প্রথমে ইন্সপেক্টরের গাড়িতে একটি জিপিএস ট্র্যাকার বসায়।

পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য শ্যালক প্রথমে একটি সাইকেল কিনে টি-শার্ট পরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সতীশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে অভিযুক্তরা পলাতক। পলাতক হওয়ার পর সে তার সাইকেল ও জামাকাপড়ও রাশিতে ফেলে দেয়। পুলিশি তদন্তের সময় নজরদারি এড়াতে অভিযুক্ত তার মোবাইল বাড়িতে রেখে গিয়েছিল যাতে বাড়িতেই এর অবস্থান পাওয়া যায়।

পুলিশ সিসিটিভি খতিয়ে দেখে

ইন্সপেক্টর হত্যা মামলায় জড়িত পুলিশ দল ধারাবাহিকভাবে তদন্ত করে আসছিল। পুলিশ দল 10 কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে 400টি সিসিটিভি ক্যামেরা তল্লাশি করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তকে ট্র্যাক করা হয়েছে।