তৃণমূল বিধায়কের সামনেই ‘চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান’ বিজেপির, চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারপিট

তৃণমূল বিধায়কের সামনেই ‘চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান’ বিজেপির, চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারপিট
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipore) মহিষাদলে কেশবপুর সমবায় সমিতির অনুষ্ঠানে ধুন্ধুমার। মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়কের সামনেই ‘চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান’ বিজেপির। যারপর তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তিলক চক্রবর্তীর সামনেই মারপিট, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উস্কানিতেই অশান্তি, অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের। গন্ডগোলে বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বেশ কয়েকজন আহত।

মহিষাদলের কেশবপুর রাধাকৃষ্ণ কৃষি সমবায় সমিতির একশো বছর পেরিয়ে যাওয়ায় সোমবার ছিল সমাপ্তি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী এসে পৌঁছনোর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূল বিধায়ক অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হওয়ার পরই সেখানে তাঁরে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান থেকে শুরু করে কিছুক্ষণের মধ্যে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগান দেন বিজেপির সমর্থকরা। তারপর চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে একে-অপরকে মারধরে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকরা। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা শুরু করে। যদিও এলাকায় তীব্র উত্তেজনা চলতে থাকায় শেষমেশ অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।

তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘বিজেপি তো এই কাজই করে। ওঁদের জেলার নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেভাবে উস্কানি দিচ্ছেন, সেভাবেই কাজ করছেন বিজেপি সমর্থকরা। ৩ হাজার লোকের সমবায়, শান্তিপূর্ণ মিটিং চলার মাঝে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করল। দেখুক মানুষ দেখুক, ওঁরা কী করছে। মানুষ দেখুক কাদের হাতে সমবায়ের, গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। মানুষই ওসব দেখে মুখ ফিরিয়ে নেবে, বিশ্বাস রাখি।’ এদিকে, পাল্টা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবি, তাঁদের মারধর করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন বলেও দাবি তাঁদের।                                                            (Feed Source: abplive.com)