পশ্চিমবঙ্গ: KIIT-এর প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সামন্ত বলেছেন – আমাদের ফোকাস আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাতে থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গ: KIIT-এর প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সামন্ত বলেছেন – আমাদের ফোকাস আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাতে থাকবে।

অচ্যুত সামন্ত, KIIT-এর প্রতিষ্ঠাতা
– ছবি: আমার উজালা

কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি) এবং কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (কেআইআইএস) এর প্রতিষ্ঠাতা অচ্যুত সামন্ত বলেছেন যে শিক্ষার পাশাপাশি তাঁর সংস্থা এখন ওড়িশায় স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে পা রাখতে চলেছে৷ তিনি বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছর স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির নজর থাকবে এখন। তিনি বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের সুস্থ থাকাটাও খুবই জরুরি। অমর উজালার সঙ্গে এক বিশেষ আলাপচারিতায় অচ্যুত সামন্ত বলেন, বর্তমানে সারাদেশের শিক্ষার্থীসহ ৬৫টি দেশের শিক্ষার্থীরা দুটি প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলায় বিশ্বে দেশের গৌরব বয়ে আনছে।

সামন্ত বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি আমরা এখন ওড়িশায় স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমাদের মনোযোগ দিতে যাচ্ছি। আগামী পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়েই নজর দিতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষা ও সমাজসেবায় আমরা ইতোমধ্যে অনেক কাজ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি। সামন্ত বলেন, সমাজসেবা ছাড়াও আমরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছি। আর্ট অব গিভিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সমাজকে বলার চেষ্টা করছি কিভাবে অন্যকে দিতে হয়। দেওয়ার প্রথা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমরা আর্ট অফ গিভিং এর মাধ্যমে দান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছি। তিনি বলেন, এটা ভগবানের বড় আশীর্বাদ যে তিনি আমাকে মাধ্যম বানিয়ে এ পর্যন্ত ২৫টি মন্দির তৈরি করেছি। সংগঠনটি মানুষকে আধ্যাত্মিকতার সাথে যুক্ত করার জন্যও কাজ করছে।

অচ্যুত সামন্ত বলেন, আগে যেভাবে জীবন যাপন করতাম আজও সেভাবেই জীবনযাপন করছি। আমাদের সংগঠন ত্রিশ বছর পূর্ণ করেছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছি। সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান গেমসে আমাদের প্রতিষ্ঠানের 14 জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি অলিম্পিয়ান তৈরি করেছে। এর মধ্যে চারটি শিশু পদক জিতেছে। এর মধ্যে দুটি স্বর্ণ ও দুটি রৌপ্য পদক পেয়েছে। একইভাবে, সম্প্রতি গোয়ায় জাতীয় গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যাতে আমাদের সংস্থার 21 জন খেলোয়াড় পদক পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সারা দেশ থেকে শিশুরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসছে। এর পাশাপাশি ৬৫টি দেশের শিক্ষার্থীরাও এখানে পড়াশোনা করছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।

(Feed Source: amarujala.com)