চলছে ‘ফাইনাল স্টেজ’! সকাল ৮টার মধ্যেই শেষ হবে উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ, আশাবাদী NDRF

চলছে ‘ফাইনাল স্টেজ’! সকাল ৮টার মধ্যেই শেষ হবে উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ, আশাবাদী NDRF

শেষ ১১ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেই মুহূর্তটা ভয়ংকর ছিল। আর সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার, উদ্ধারকারীদের চোয়ালচাপা লড়াইয়ের পর যখন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনার শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, সেই সময়টা যেন কাটতেই চাইছে না। প্রতিটি সেকেন্ড মনে হচ্ছে যেন একটা দিন। প্রতিটা মিনিট যেন একটা সপ্তাহ। তবে উত্তরাখণ্ড সরকারের আশ্বাস, একেবারে ‘ফাইনাল স্টেজ’-এ এসে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। আর একটু অপেক্ষা করলেই আসবে সাফল্য। সেই উদ্ধারকাজের টাটকা আপডেট দেখে নিন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় –

‘বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা মধ্যে উদ্ধার করা হবে’

উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য হরিপাল সিং বলেন, ‘জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) বেশ আত্মবিশ্বাসী। এনডিআরএফের কর্মীরা স্টিল কেটে ফেলবেন এবং মেশিন (গ্যাস কাটার) কাজ করবে। আমার মতে, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার মধ্যে পুরো উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে।’

ঘটনাস্থলে ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ভ্যান

রাত ১১ টা নাগাদ উত্তরকাশীর ঘটনাস্থলে আসে ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ভ্যান। এক চালক বলেছেন, ‘ভ্যানে কয়েক ধরনের ওষুধ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র আছে।’

‘ফাইনাল স্টেজ’-এ উদ্ধারকাজ

বুধবার রাত ১০ টা ৫০ মিনিট উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সিল্কিয়ারায় উদ্ধারকাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে (ফাইনাল স্টেজ) পৌঁছে গিয়েছে। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) দল। সুড়ঙ্গের মধ্যে রাখা হয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। চিন্যালিসৌরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের একটি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। ৪১ জন শ্রমিকের জন্য ওই ৪১ শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে।

উত্তরকাশীতে কী হয়েছিল?

গত ১২ নভেম্বর ধস নামে উত্তরকাশীর নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে। পাহাড়ের পেটের মধ্যে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে তিনজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা – হুগলির পুরশুড়ার হরিণাখালির জয়দেব প্রামাণিক, পুরশুড়ার শৌভিক পাখিরা এবং কোচবিহারের তুফানগঞ্জের চেকাডোরা গ্রামের মানিক তালুকদার। তারপর থেকেই তাঁদের উদ্ধারকাজের চেষ্টা শুরু হয়। বিদেশ থেকে আসেন বিশেষজ্ঞ। কিন্তু যত সময় যাচ্ছিল, তত উদ্বেগ বাড়ছিল।

সেই উদ্বেগের মধ্যেই আশার আলো দেখা দেয় মঙ্গলবার ভোরে। ছ’ইঞ্জি ব্যাসের পাইপের (যে পাইপ দিয়ে সোমবার খাবার পাঠানো হয়েছিল) মাধ্যমে এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা দিয়ে ১২ নভেম্বরের পর প্রথমবার দেখা যায় শ্রমিকদের। ওই পাইপের মাধ্যমে যে ওয়াকি-টকি পাঠানো হয়, তা দিয়ে কথাও বলেন তাঁরা। পরিবারকে বার্তা দেন। তাতে শ্রমিকরা যেমন কিছুটা স্বস্তি পান, তেমনই স্বস্তি পান তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

তারইমধ্যে কীভাবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করতে থাকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আরও ১০-১২ দিন লেগে যেতে পারে। কিন্তু সমস্ত বাধা পেরিয়ে শ্রমিকদের কাছে এগিয়ে যেতে থাকেন উদ্ধারকারীরা।

(Feed Source: hindustantimes.com)