‘ধোনি বসিয়ে দিয়েছিলেন’, ২০০৮-এই অবসরের ভাবনা এসেছিল সহবাগের; কার পরামর্শে থামেন ?

‘ধোনি বসিয়ে দিয়েছিলেন’, ২০০৮-এই অবসরের ভাবনা এসেছিল সহবাগের; কার পরামর্শে থামেন ?

নয়া দিল্লি : টেস্টে ওপেনারের সংজ্ঞাটাই কার্যত পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। ১০৪টি টেস্ট, ২৫১ টি একদিনের ম্যাচ এবং ১৯টি টি২০ ম্যাচে যথাক্রমে- ৮৫৮৬, ৮২৭৩ ও ৩৯৪ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এমনকী দেশের প্রথম ক্রিকেটার, যাঁর ঝুলিতে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির (Triple Century) রেকর্ড রয়েছে। এহেন সাফল্যে-পরিপূর্ণ ক্রিকেটার সহবাগের (Virendra Sehwag) কেরিয়ারে এমন একটা সময় এসেছিল, যখন তিনি সময়ের অনেক আগেই অবসরের কথা ভেবেছিলেন। কার্যত, আর্লি রিটায়ারমেন্টের চিন্তা এসেছিল তাঁর মাথায়।

২০০৮ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় ঘটে সেই ঘটনা। সমালোচনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কীভাবে সম্ভব ? একটি শোয়ে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় নিজের অবসরের চিন্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সহবাগ।

Cricbuzz শো-এ কী জানালেন সহবাগ ?

Cricbuzz শো ‘Match Party’-কে তিনি বলেন, “দুই ধরনের খেলোয়াড় আছে। এক ধরনের খেলোয়াড়রা, চ্যালেঞ্জ নেওয়া উপভোগ করে। যেমন-বিরাট কোহলি। ও সমালোচনা শোনে, তারপর কামব্যাক করে। আর এক ধরনের খেলোয়াড় রয়েছে- যারা সমালোচনায় প্রতিক্রিয়া জানায় না। কারণ, তারা জানে তারা কী অর্জন করতে পারে। আমি সেই রকম খেলোয়াড়। আমার কে সমালোচনা করল, আর কে করল না তাতে আমি পাত্তা দিই না।”

সহবাগ বলেন, “২০০৮ সালে আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম, আমার মাথায় অবসর নেওয়ার ভাবনা আসে। আমি টেস্ট সিরিজে কামব্যাক করেছিলাম। ১৫০ রান করি। একদিনের ম্যাচে, তিন-চার বারের চেষ্টাতেও সেঅর্থে রান করতে পারিনি। তাই, ধোনি আমাকে প্রথম একাদশ থেকে বসিয়ে দেয়। সেই সময় আমার মাথায় একদিনের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা আসে। আমি চিন্তা করি, শুধু টেস্ট ক্রিকেটই খেলে যাবে। সেই সময় সচিন তেন্ডুলকর আমায় থামিয়েছিলেন। সচিন বলেন, এটা তোমার জীবনের একটা খারাপ সময়। অপেক্ষা করো। এই ট্যুরের পর বাড়ি ফিরে যাও। ভাল করে চিন্তা করো এবং তারপর সিদ্ধান্ত নাও। ভাগ্যক্রমে, আমি সেই সময় অবসর ঘোষণা করে দিইনি। সময় পাল্টায়। আমরা দেশে ফিরে আসি। সেই সময় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন কে শ্রীকান্ত। তিনি জানতে চান, কী করা উচিত ? আমি জানাই, ভাল ফর্মে থাকা সত্ত্বেও তিন-চারটি ম্যাচে আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি কী করব ? আমি তাঁকে জানাই, যদি এই নিশ্চয়তা দিতে পারেন যে সব ম্যাচে নেবেন, তাহলে দলে নিন। অন্যথা নয়। তারপর ২০০৮ এশিয়া কাপের সময় শ্রীকান্ত ধোনির সঙ্গে কথা বলেন। ধোনি জানতে চায়, কোন পজিশনে খেলব। আমাকে প্রতিটি ম্যাচে খেলানোর কথা জানায়। তারপর আমি ভাল ক্রিকেটও খেলি।”

২০১৩ সালে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন সহবাগ।

(Source: abplive.com)