চিনে প্রবল সংক্রমণ! ভারতেও ঝুঁকি? কী জানাল WHO?

চিনে প্রবল সংক্রমণ! ভারতেও ঝুঁকি? কী জানাল WHO?
কলকাতা: কোভিডের পরে ফের আরও একটা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। চিনে প্রবলভাবে ছড়াচ্ছে নিউমোনিয়া সংক্রমণ। যেহেতু এই সংক্রমণের মূল শিকার হচ্ছে শিশুরা, তাই এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সংক্রমণের জেরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনাও লাফিয়ে বাড়ছে। আর এই পুরো পরিস্থিতিই নজরে রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার তরফে চিনকে এই সংক্রমণের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এই সংক্রমণের হার যাতে লাগামে থাকে তার জন্যও চিনকে দ্রুত যাবতীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

কোভিড সংক্রমণও চিন থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে চিন সরকার। ফের সেদেশেই এমন শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে।

কী বলেছে WHO?
২২ নভেম্বর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি জারি করেছিল। সেখানে চিনের সরকারের কাছ থেকে নিউমোনিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।

WHO-এর মতে, চিন সরকার দাবি করেছে, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য এই সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। এছাড়াও, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া (এটি একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যা সাধারণত ছোট বাচ্চাদের সংক্রমিত করে), রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (RSV), এবং SARS-CoV-2 (যে ভাইরাসটি COVID-19 ঘটায়) এর মতো পরিচিত প্যাথোজেনগুলির সঞ্চালনও ওই কারণেই বেড়েছে বলে দাবি। স্বাস্থ্যক্ষেত্র আরও শক্তিশালী করার জন্য চিনের সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।

এই পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে বেশকিছু গাইডলাইন (Guideline) দেওয়া হয়েছে।

১. ঠিক সময়ে টিকাকরণ প্রয়োজন
২. অসুস্থদের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
৩. অসুস্থ থাকলে Self Isolation- বজায় রাখুন
৪. প্রয়োজন হলে যাবতীয় পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য নেওয়া উচিৎ
৫. খোলা জায়গায় বেরোলে অবশ্য়ই মাস্ক পরতে হবে। কোভিডবিধি যা যা ছিল পালন করতে হবে।

এটা মহামারি বা অতিমারি হবে কিনা সেটা বলার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চিন থেকে অন্য দেশে এমন সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেও এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি।

(Feed Source: abplive.com)