আর কয়েকদিন পরই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষা ঘিরে জটিলতা তৈরি হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনে প্রচি বছর টেট করানোর লক্ষ্যেই এবছর টেট পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এরই মাঝে আগের বছরের টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন জারি আছে। ২০১৭ ও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা যেখানে চাকরি পাননি, সেখানে ২০২৩ সালে টেট উত্তীর্ণদের কী হবে? এই সবের মাঝেই আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে চলেছে পর্ষদ। জানা গিয়েছে, জেলা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকটি হবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবছরের টেট পরীক্ষা। এরই মাঝে গতকাল, কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখান ২০২২ সালের টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। অনেক বিক্ষোভকারীই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীদের গন্তব্য ছিল কালীঘাট। সেখানে যেতে গিয়ে অনেকেই আবার গ্রেফতার হন। এই আবহে জানা গেল, আগামী ২৯ নভেম্বর জেলা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছে পর্ষদ। আসন্ন টেট পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। এদিকে আগের বছরগুলির টেট উত্তীর্ণদের ভবিষ্যত নিয়ে কোনও সুদত্তর নেই পর্ষদের কাছে।
এমনিতেই টেট নিয়ে মামলার পর মামলায় জর্জরিত পর্ষদ। এই মাঝে টেট উত্তীর্ণদের চাকরি দেওয়া নিয়ে জটিলতা। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছে পর্ষদ। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, আগের বছরের টেট উত্তীর্ণরাই এখনও চাকরি পাননি। পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি এখনও। এই আবহে ফের কেন নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে? পর্ষদের বক্তব্য, যেহেতু কেন্দ্রের আইনে প্রত্যেক বছর টেট নেওয়ার কথা বলা রয়েছে, তাই ২০২৩ সালেও পরীক্ষা হচ্ছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)