অনলাইনে হোটেল বুকিং করতে গিয়ে হাওয়া হয়ে গেল ৮৯,০০০টাকা, উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ

অনলাইনে হোটেল বুকিং করতে গিয়ে হাওয়া হয়ে গেল ৮৯,০০০টাকা, উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ

বেড়াতে গেলে তো অনলাইনে হোটেল বুকিং করেন। কিন্তু সাবধান! সব দেখে শুনে করতে না পারলেই অ্য়াকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে প্রতারকরা। দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দার সঙ্গে তেমন ঘটনাই হয়েছে। চারদিকে ফাঁদ পাতা রয়েছে প্রতারকদের। এনিয়ে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ। ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে?

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা শীতের মরশুমে পুরী বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। অনলাইনেই তিনি পুরীর হোটেলের খোঁজ পান।সেই ওয়েবসাইটে ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। সেই মতো ওই দম্পতি যোগাযোগ করেন। এদিকে সেখান থেকে বলা হয়েছিল নিজের পছন্দ ও চাহিদা কী রয়েছে সেটা জানাতে। সেই মতো ওই বাসিন্দা সবটা জানান। মানে বেড়াতে গিয়ে কী ধরনের হোটেলে তাঁরা থাকতে চাইছেন সেটা তাঁরা জানান। এরপর হোয়াটস অ্য়াপে অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পাঁচ দিনের ঘরভাড়া বাবদ ৭,৫০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল। আর এরপরই আসল খেলা শুরু হয়।

ডেবিট কার্ড ব্য়বহার করে তিনি রুম বুকিংয়ের টাকা দিয়েছিলেন। আর তারপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া যায় ৮৯,০০০ টাকা। কলকাতা পুলিশের দাবি ওই ব্য়ক্তি প্রতারকদের সঙ্গে ওটিপি শেয়ার করেছিলেন। তার জেরেই বিপুল অঙ্কের টাকা হাওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে।

এরপর ওই দম্পতি কলকাতা পুলিশের সাউথ ডিভিশন সাইবার সেলে অভিযোগ জানান। সার্জেন্ট শুভঙ্কর চক্রবর্তী সহ সাইবার সেলের অন্য়ান্য সদস্যরা এরপর ওই টাকা উদ্ধারে নামেন। তবে আশার কথা পুরো টাকাটাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এমনকী হোটেল বুকিংয়ের ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এবারই প্রথমবার হল এমনটা নয়। এর আগেও দেখা গিয়েছে অনলাইনে হোটেল বুকিং করতে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খোয়া যাচ্ছে। শুধু পুরী নয়, দিঘা, মন্দারমনি, দার্জিলিংয়ের একাধিক হোটেলের নাম করে অনলাইনে এই ধরনের ভুয়ো ওয়েবসাইট ঘুরছে। সেখানেই নানা প্রলোভন, অফারের নাম করে ফাঁদ পেতেছে প্রতারকরা। আর সেখানে পা দিলেই সব শেষ। সেক্ষেত্রে অনলাইনে হোটেল বুকিং করতে গেলে অত্যন্ত সাবধান। কারণ আসল -নকলের ফারাক বোঝা যায় না। সেকারণে বিশ্বাসযোগ্য সাইটে গিয়ে বুকিং করাটা দরকার। না হলে অনেকেরই অবস্থা হতে পারে দক্ষিণ কলকাতার ওই বাসিন্দার মতোই। তবে এই ওয়েবসাইটের পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছেন সেটা অনেকসময় জানা যায় না।

(Feed Source: hindustantimes.com)