শাহি-আক্রমণে ঠিক কতটা বদল ? ন’বছর আগে নিশানায় ছিল ঠিক কী কী ?

শাহি-আক্রমণে ঠিক কতটা বদল ? ন’বছর আগে নিশানায় ছিল ঠিক কী কী ?
শিবাশিস মৌলিক, সঞ্চয়ন মিত্র ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা : ২০১৪-র পর ২০২৩। ন’বছরের ব্য়বধানে, ধর্মতলায় সভা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ন’বছর আগের সেই সভা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্য়ুত করার ডাক দিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর বক্তব্য়ে উঠে এল সেসব ইস্য়ুই। ঠিক কতটা বদল ঘটল তাঁর আক্রমণে ?

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বরের পর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর। সেই ধর্মতলা। সেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভামঞ্চ। প্রধান বক্তা সেই অমিত শাহ। এ যেন অ্য়াকশন রিপ্লে ! মাঝে পেরিয়েছে ৯ টা বছর। সেদিনের বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে লক্ষ্য় এখনও সেই একটাই। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে (TMC) ক্ষমতাচ্য়ুত করা।

‘১৪ সালে শাহ বলেছিলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি তখনই জয়ী হবে, যখন পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি জয় পাবে। মোদিজির স্লোগান তৃণমূলমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ তৈরি।’ আর বুধবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য়ও এই ময়দান সৌভাগ্য়ের। এই নভেম্বর মাসেই এখানে এসেছিলাম ২০১৪ সালে। এখান থেকে বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূলকে সরানোর ডাক দিয়েছিলাম বিজেপির সভাপতি হিসেবে। আজ বাংলার মানুষকে ধন্য়বাদ জানাতে চাই। বাংলায় ১৮টা লোকসভা আসন এবং ৭৭টা বিধানসভা আসন দিয়ে বাংলার মানুষ ঠিক করে দিয়েছে, এখানে এরপর বিজেপিরই হতে চলেছে।’

শুধু যে লক্ষ্য় এক আছে, তাই নয়। কার্যত এক রয়ে গেছে ইস্য়ুও। ‘১৪-র সভা থেকে শাহ আক্রমণ শানিয়েছিলেন, ‘এটা প্রমাণিত যে তৃণমূলের নেতারাই এই চিটফান্ডকে সাহায্য় করতেন। মমতাজি, আপনি বলুন, আপনার আঁকা ছবি কে কিনেছিল? এই মমতা ব্য়ানার্জি, যিনি বাংলার মানুষের জন্য় আমরণ অনশনে বসেছিলেন, মুখ্য়মন্ত্রী হয়েই আজ চিটফান্ডকাণ্ডে দোষীদের বাঁচাতে, মমতা ব্য়ানার্জি এগিয়ে আসছেন।’ এবারের সভা থেকে দুর্নীতি-ইস্যুতে শান দিয়ে অমিত শাহের আক্রমণ, ‘ভারতের মধ্য়ে বাংলাকে দুর্নীতির জন্য় বদনাম করেছেন মমতা ব্য়ানার্জির সরকার। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চ্য়াটার্জি, গরু পাচার হোক, কয়লা পাচার হোক, নিয়োগ দুর্নীতি হোক, বাংলার মানুষের কোটি কোটি টাকা এরা খেয়েছে।’

(Feed Source: abplive.com)