চিন থেকে আমেরিকা, নতুন আতঙ্কের নাম :’হোয়াইট লাং সিনড্রোম’

চিন থেকে আমেরিকা, নতুন আতঙ্কের নাম :’হোয়াইট লাং সিনড্রোম’

কলকাতা: ‘হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ (while lung syndrome)! চিন, ডেনমার্ক, আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস-সহ একাধিক দেশে এখন নতুন ‘আতঙ্ক’এই রোগ। সাধারণ ভাবে ৩ থেকে ৮ বছর বয়সিদের কাহিল করছে হোয়াইট লাং সিনড্রোম’। আক্রান্তের ফুসফুস স্ক্যান করে ক্ষতির যে ছবি উঠে আসছে, সেটি দেখেই রোগটির ডাকনাম রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, mycoplasma pneumoniae নামে এক ব্যাকটিরিয়াল সংক্রমণ এই রোগের মূল কারণ। আশঙ্কার কারণ হল, বহু অ্যান্টিবায়োটিকই এই রোগ নিরাময়ে কার্যকরী হচ্ছে না। ফলে চিন্তা বাড়ছে।

কী জানা গেল?
ডেনমার্কে পরিস্থিতি সবথেকে বিপজ্জনক। হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ সেখানে কার্যত ‘মহামারী’-র চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য় প্রশাসনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে সংক্রমণের যা ছবি তার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের আদি-পর্বের অনেকটাই মিল রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের এই সন্দেহজনক ‘নিউমোনিয়া’ আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর। বাদ নেই সুইডেন-ও। অতলান্তিক মহাসাগরের ও পারে, আমেরিকার ওহায়ো প্রদেশের একাধিক জায়গাতেও এই সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, এখানেও আক্রান্ত শিশুদেরই হাসপাতালে বেশি ভর্তি করতে হচ্ছে। মার্কিন ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ জানাচ্ছে, তারা নিয়মিত চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তবে তাদের বক্তব্য, এই প্যাথোজেন অচেনা নয়। 

উপসর্গ…
বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তের কাশি, হাঁচি, কথাবার্তা, গান, এমনকি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে থেকেও যে ‘ড্রপলেট’ বেরোয়, তা থেকে এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হোয়াইট লাং সিনড্রোম’-র উপসর্গ হিসেবে, 

    • জ্বর
    • কাশি
    • শ্বাসকষ্ট
    • বুকে ব্যথা
    • ক্লান্তি

প্রভৃতি লক্ষণের কথা বলছেন ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ আসলে ‘নিউমোনিয়া’-রই গুরুতর রূপ। এর ফলে ফুসফুসে ‘স্কারিং’ তৈরি হয়, রং ফ্যাকাশে হতে থাকে। সেই লক্ষণ থেকেই এই নামকরণ।

China Pneumonia থেকে আলাদা কোথায়?
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন,হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ -র নেপথ্য়ে একাধিক কারণ থাকতে পারে। সিলিকোসিস, ARDS, PAM এই কারণগুলির অন্যতম। অন্য দিকে, mycoplasma pneumoniae-রই নতুন ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী স্ট্রেন থেকে ছড়িয়েছিল China Pneumonia, মত ডাক্তারদের। ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ -র তরফে জানানো হচ্ছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা যে খবর পাচ্ছি, তাতে চিনের উত্তরাংশে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বাড়ছে…মূলত শিশুদের মধ্যে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে বলে খবর।’ তবে এটি নতুন কোনও প্যাথোজেন নয়, ধারণা মার্কিন সিডিসি-র। এগুলি সবই আগে থেকে ছিল। শুধু তার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে।

(Feed Source: abplive.com)