বিতর্কিত ফলক ভেঙে দিল বিশ্বভারতী
১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপরেই ২০ অক্টোবর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, গৌরপ্রাঙ্গণে ৩ টি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছিলেন৷ তাতে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নিজের নাম লিখে ছিলেন ৷ ফলকে ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যা নিয়ে সরব হন রাজনৈতিক দলগুলি থেকে শুরু করে পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনীরা৷ বিদ্যুৎবাবুর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
বসানো হল নতুন ফলক
৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর৷ নতুন উপাচার্য হন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ‘বিতর্কিত’ ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেই মত এদিন রাতে ভেঙে দেওয়া হল শান্তিনিকেতনের বিতর্কিত ফলক। বসানো হল নতুন ফলক৷ তাতে লেখা রয়েছে,’প্রাকৃতিক ঐতিহ্য বিশ্বের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণার্থে শান্তিনিকেতন বিশ্ব ঐতিহ্যে সারণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সারাণিতে অন্তর্ভুক্ত শান্তিনিকেতনের বিশ্বজনিন সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ব সুনিশ্চিত করে এবং বিশ্ব মানবতার স্বার্থে এটির সুরক্ষা আবশ্যক।’ এরপরেই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সহ শান্তিনিকেতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দিতে লেখা হল নতুন ফলক৷
‘লজ্জায় দিনের বেলায় ভাঙতে পারেনি, রাতের বেলায় ভেঙেছে’
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী পুরনো ফলক সরিয়ে নতুন ফলক বসানো হল।’এই বিষয়ে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘লজ্জায় দিনের বেলায় ভাঙতে পারেনি রাতের বেলায় ভেঙেছে। ওরা ভয় পেয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তাতে ভেঙে দেওয়া দরকার ভেঙে দিয়েছে। এবার রবীন্দ্রনাথের নাম থাকবে সেই ফলক দেওয়া হবে এটাই চাই ।’
(Feed Source: abplive.com)