রাজ্যে এই প্রথম রূপান্তরকামী রোগীদের জন্য পৃথক পরিষেবা চালু হল। মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে শুরু হল এই বিভাগ । সেই পরিষেবার মধ্যে থাকছে আউটডোর ক্লিনিক। পাশাপাশি থাকছে দুটি শয্যার একটি ইন্ডোর ওয়ার্ড। রূপান্তরকামীদের বিশেষ পরিষেবা দিতে থাকছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।
রূপান্তরকামীদের সামাজিক হেনস্থার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠন। তাদেরই যৌথ উদ্যোগে রচিত ‘রেনবো ফর ইনক্লুসিভিটি’। তাদের বিশেষ কর্মসূচির অধীনে ইনার-হুইল (ডিস্ট্রিক্ট ৩২৯) স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে আমরি হাসপাতাল। তার ভিত্তিতেই শুরু হল এই নতুন পরিষেবা।
এতদিন কলকাতা শহরে পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিল রূপান্তরকামীদের জন্য বিশেষ ক্লিনিক। কিন্তু রূপান্তরকামীদের জন্য কোনও ইন্ডোর ওয়ার্ডের ব্যবস্থা ছিল না। বুধবার এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। আমরি গোষ্ঠীর সিইও রূপক বড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, আপাতত দুটি বেড দিয়ে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে আগামী দিনে বাড়বে শয্যা সংখ্যা। পাশাপাশি তাদের ঢাকুরিয়া ও সল্টলেক ক্যাম্পাসেও চালু হবে একই পরিষেবা। রূপান্তরকামীদের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে ‘প্রান্তকথা’ সংগঠন। তাঁর বোর্ড মেম্বার তথা প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়কেও এই উদ্যোগ দেখে উচ্ছ্বসিত।
তাঁদের সংগঠনের তরফে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন রূপান্তরকামী মহিলা অণুপ্রভা দাস মজুমদার ও তাঁর স্বামী তথা ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা বাপ্পাদিত্য মজুমদার। ইনার-হুইলের চেয়ারপার্সন দীপান্বিতা গুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এমন একটি পরিষেবা চালু করার ব্যাপারটি আদতে অলকানন্দা রায়েরই মস্তিষ্কপ্রসূত। অন্যদিকে অলকানন্দা জানান, অণুপ্রভা যখন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়। তখনই এমন অভিনব ব্যাপার মাথায় আসে। তার পর গোটা প্রকল্পটির রূপায়ণ শুরু হল।
হাসপাতালের তরফে এই দিন জানানো হয়েছে, এখানে রূপান্তরকামীরা সার্বিক সামাজিক সুবিধা পাবেন। এর জন্যই পৃথক আউটডোর ক্লিনিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই প্রকল্পে। আপাতত সেটি বুধ ও শুক্রবার সন্ধ্যা ছ’টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চালু থাকবে। আগামী দিনে রবিবার বাদে প্রতিদিনই খোলা থাকবে।
(Feed Source: hindustantimes.com)