সন্ধেয় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি সযত্নে বিএসপিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। কখনওই দলবিরোধী কোনও কাজ করিনি। আমার আমরোহা এলাকার মানুষ তার সাক্ষী। আমি নিশ্চিতভাবেই বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করেছি। তা-ই, করে যাব। আর যদি সেটা করা অপরাধ হয়, তাহলে আমি একজন অপরাধী। সেজন্য যা শাস্তি তার মুখোমুখি হতেও আমি প্রস্তুত।” তাঁকে লোকসভার টিকিট দেওয়ার জন্য তিনি মায়াবতীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলের সিদ্ধান্ত “দুর্ভাগ্যজনক।”
সংসদে বিজেপি সাংসদ (BJP MP) রমেশ বিধুরি তাঁকে ‘অপবাদ’ দেওয়ার পর একাধিক বিরোধী নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দানিশ। এমনকী লোকসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পর গতকাল সংসদের বাইরে তিনি একা প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। আমরোহার সাংসদ গলায় একটা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানান। তাতে লেখা ছিল, যে ‘শিকার’ তাঁকেই ‘অপরাধী’ বানাবেন না। স্বভাবতই হতাশ দানিশ সংবাদ সংস্থা ANI-এর কাছে বলেন, “সংসদের শালীনতা সেপ্টেম্বরেই মারা গেছে। রমেশ বিধুরি যখন ওই মন্তব্য করেছিলেন তখনই সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে। আর এখন ওঁরা এসব বলছেন ? আজ গান্ধী ও আম্বেদকর কাঁদছেন।”
এবছর সেপ্টেম্বর মাসে চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে আলোচনার সময় বিধুরির মন্তব্য নিয়ে বিশাল রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়। দানিশের বিরুদ্ধে একাধিক বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন। যার জন্য দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ পাল্টা তাঁকে আক্রমণ করায় প্ররোচিত হন বলে দাবি ওঠে। যদিও তাঁর মন্তব্যের জন্য বিধুরিকে শো-কজ নোটিস ধরানো হয়। পরে অবশ্য বিজেপি সাংসদ তাঁর মন্তব্যের জন্য লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
(Feed Source: abplive.com)