সংক্রমিতের বাড়বাড়ন্ত…
গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ‘হুপিং কাশি’ বা ‘পার্টাসিস’ সংক্রমণের ৭১৬টি ঘটনা পেয়েছে ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি। ২০২২ সালের একই মেয়াদের নিরিখে অন্তত ৩ গুণ বেশি এই সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বরদেতেল্লা পার্টাসিস ব্যাকটেরিয়া’ থেকে ফুসফুস এবং ‘এয়ারওয়ে’-তে এই ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির এক শীর্ষকর্তার মতে, কোডিড-১৯ অতিমারীর সময়ে লকডাউন এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের ফলে এই সংক্রমণও অনেকটা কমে গিয়েছিল। এখন আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
অতীত…
পঞ্চাশের দশকে ‘হুপিং কাশি’-র প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছিল। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিকসের এক অধ্যাপক, অ্যাডাম ফিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ষাটের দশকে যখন টিকাকরণ চলছে, তার আগে পর্যন্ত গড়ে প্রতি তিন বছরে মহামারীর আকার নিত এই রোগ। ‘শিশু-ঘাতক’ হিসেবে পরিচিত হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে বয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারেন। টানা ভয়ঙ্কর কাশি নয়, এর জেরে হার্নিয়া, পাঁজরে ব্যথা, মধ্যকর্ণে সংক্রমণ এবং অল্প চাপেই প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ জানাচ্ছে, ‘হুপিং কাশি’-র ফলে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। কাশির দমকে বমি এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে পাঁজরের হাড়গোড় ভেঙে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও হতে পারে। তবে আতঙ্কিত নয়, বরং সময়ে সতর্ক হওয়াই ‘হুপিং কাশি’ প্রতিরোধের উপায়। তা ছাড়া প্রতিষেধক তো রয়েছেই। উল্লেখ্য, একদম সম্প্রতি চিন, ডেনমার্ক, আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস-সহ একাধিক দেশে নতুন ‘আতঙ্ক’ ছড়িয়েছিল ‘হোয়াইট লাং সিনড্রোম’ নামে শ্বাসযন্ত্রের আরও একটি রোগ। সাধারণ ভাবে ৩ থেকে ৮ বছর বয়সিদের কাহিল করে এই ‘হোয়াইট লাং সিনড্রোম’। আক্রান্তের ফুসফুস স্ক্যান করে ক্ষতির যে ছবি উঠে আসছে, সেটি দেখেই রোগটির ডাকনাম রাখেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার নজরে ‘হুপিং কাশি’!
(Feed Source: abplive.com)