ডাকতেন ‘মাটন’ বলে, মিঠুন শ্যুটিং করলেই তাঁর জন্য রান্না করে আনতেন এক বিশেষ বন্ধু

ডাকতেন ‘মাটন’ বলে, মিঠুন শ্যুটিং করলেই তাঁর জন্য রান্না করে আনতেন এক বিশেষ বন্ধু

কলকাতা: তাঁর কেরিয়ারে এই ছবি অন্যতম একটা চ্যালেঞ্জ তো বটেই… পুরনো নস্ট্যালজিয়াকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। তবে শুধু কী শ্যুটিং, আর নতুন গল্প? কিছু কিছু পুরনো স্মৃতি ফিরে আসে নতুন গল্পেও.. ঠিক তেমনই হল মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)-র ‘কাবুলিওয়ালা’ (Kabuliwala)-র শ্যুটিংয়ে।

এই মাসের শেষেই মুক্তি পাবে মিঠুন, আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) অভিনীত ‘কাবুলিওয়ালা’। জিও স্টুডিওজ’ ও এসভিএফের যৌথ প্রযোজনায় এই মাসের শেষেই মুক্তি পাবে এই ছবি। আর শ্যুটিংয়ের গল্প করার সময়, ছোটবেলার এক বন্ধুর স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন মিঠুন, যিনি অভিনেতাকে মিঠুন নয়, ডাকতেন ‘মাটন’ বলে!

শ্যুটিংয়ের ফাঁকে গল্প শোনাতে গিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমার এক বন্ধু ছিল জামালুদ্দিন খান। আফগানের পাঠান ছিলেন। আমায় এত ভালবাসত, যেখানেই শ্যুটিং করি না কেন, আমার জন্য একটা ছোট্ট কৌটোয় কখনও পাঁঠার মাংস, কখনও মুরগীর মাংস নিয়ে হাজির হয়ে যেত। আর দূর থেকে বসে বসে দেখত ওই কৌটোর খাবারটা আমি একা খাই কি না। অন্য কাউকে দিতে দিত না ও। আর সবসময় বলত, ‘ম্যায় আল্লাহ সে দোয়া করতা হুঁ, মেরে মাটন কো তু নম্বর ওয়ান বানা দে’ (আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আমার মিঠুনকে তুমি সেরা তৈরি করে দাও)। ও মিঠুন বলতে পারত না, মাটন বলত। আমি সবসময় প্রযোজকদের বলে রাখতাম, যদি ও আমার আগে চলে আসে, তাহলে ওকে ভাল জায়গায় বসাবেন। আমার খুব কাছের বন্ধু ও।’

এরপরে সামান্য দম নিয়ে মিঠুন আবার বলতে শুরু করেন, ‘জামালের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বহুদিন। আমি জানি না জামাল বেঁচে আছে কি না। যদি থাকে তাহলে আমি এই ছবিটা ওকে উৎসর্গ করতে চাই।’

প্রসঙ্গত, এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মন্তব্য, অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন, ছোটবেলার স্মৃতি ফিরিয়ে দিচ্ছে এই ছবি। অনেকে মুগ্ধ তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটের ছবিতে। তবে কেবলমাত্র নস্ট্যালজিয়াই নয়, আবিরের সংলাপে রয়েছে দেশ, ধর্ম, জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে মানুষকে চেনার বার্তাও। দেবের নতুন ছবি ‘প্রধান’-এর সঙ্গেই মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। একদিকে কমার্শিয়াল ছবি বনাম একরাশ নস্ট্যালজিয়ার লড়াই বক্সঅফিসে।

(Feed Source: abplive.com)