মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের,কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ারে হাল ফিরল রাস্তার

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের,কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ারে হাল ফিরল রাস্তার
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : মুখ্যমন্ত্রীর বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাল ফিরল আলিপুরদুয়ারে বেহাল রাস্তার। শনিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে দু’কিলোমিটার পথ হাঁটেন। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় সেটা দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ১৫০ মিটার রাস্তা মেরামতির কাজ জরুরি ভিত্তিতে শুরু করে পুরসভা। তার তদারকি করতে দেখা যায় পুরসভার চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে।

কখনও পথচলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা, কখনও পরম স্নেহে শিশুর মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবার কখনও উৎসাহী তরুণীর সঙ্গে হাত মেলানো। শনিবার আলিপুরদুয়ারে গিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই জনসংযোগ সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ, আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউস থেকে বেরোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্সা ফিডার রোড হয়ে কোর্ট মোড় এবং সেখান থেকে তারপর ডুয়ার্স কন্যা হয়ে আলিপুরদুয়ার ইউনিভার্সিটি লাগোয়া রাস্তা দিয়ে প্রায় দু’কিলোমিটার পথ হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে কাছ থেকে দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমে যায়। তবে এদিন শহর ঘুরে দেখার মধ্যেই আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও জেলা বন দফতরের বিল্ডিংয়ের অবস্থা নিয়ে মৃদু ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

পাশাপাশি, সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন। ইউনিভার্সিটি লাগোয়া রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় সেটা দ্রুত মেরামতির আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে রাস্তাটা আমি দেখলাম ইউনিভার্সিটির সামনে এই রাস্তাটা আমি ডিএম-কে বলেছি টু টেক কেয়ার। কারণ এখানে স্টুডেন্টরা আছে, বহু লোক আসে।

সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আলিপুরদুয়ার জেলা সফরকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। কারণ, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ২১-এর বিধানসভা তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এলেও, এই জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনেই জয়ী হয় বিজেপি। ২০২৪-এ বিজেপির শক্তঘাটি এই আলিপুরদুয়ারে কি খাতা খুলতে পারবে তৃণমূল? সেটাই দেখার!

(Feed Source: abplive.com)