কংগ্রেস সাংসদের অফিস-গুদামে আয়কর হানায় ৩০০ কোটির হদিশ ! খোঁচা অমিত শাহের

কংগ্রেস সাংসদের অফিস-গুদামে আয়কর হানায় ৩০০ কোটির হদিশ ! খোঁচা অমিত শাহের
কলকাতা : ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় মদের সংস্থায় আয়কর হানায় (Income Tax Raid) মিলল বান্ডিল বান্ডিল নোটের হদিশ। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু-র (Dhiraj Prasad Sahu) অফিস ও গুদাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, এখনও ৬-৭টি ঘর ও ৯টি লকারে তল্লাশি বাকি। বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধারের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি (BJP)।

ফের উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল নোট। মিলল ব্য়াগ ভর্তি টাকা। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর অফিস ও কারখানায় তল্লাশিতে চক্ষু চড়কগাছ খোদ আয়কর দফতরের আধিকারিকদের। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ধীরজ সাহুর অফিস ও ফ্য়াক্টরি থেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এখনও ৬-৭ টি ঘরে তল্লাশি বাকি রয়েছে। খোলা হয়নি অন্তত ৯ টি লকারও। আয়কর ফাঁকির অভিযোগের তদন্তে, বুধবার ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মদের সংস্থার একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় আয়কর দফতর।

বুদ্ধ ডিসটিলারিস প্রাইভেট লিমিটেড, বলদেব সাহু গ্রুপ অফ কোম্পানিস এবং বুদ্ধ দিয়া ডিসটিলারিস প্রাইভেট লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কালো টাকার সন্ধানে কলকাতায়ও হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মদের সংস্থার কারখানায় হানা দিয়ে টাকার বহরে ভিড়মি খান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। টাকা গুনতে আনা হয় মেশিন। বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে গিয়ে বিকল হয়ে যায় মেশিন। পরে মেশিন ঠিক হলে ফের শুরু হয় টাকা গোনা।

ঝাড়খণ্ড থেকে কংগ্রেসের ৩ বারের রাজ্য়সভার সাংসদ ধীরজ সাহু। তাঁর দাদাও ২ বার লোকসভার সাংসদ ছিলেন। নির্বাচনী হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে মোট ৩৪.৮৩ কোটি সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ধীরজ সাহু। হলফনামায় কংগ্রেস সাংসদের দাবি, তাঁর পরিবারের কাছে ২৭ লক্ষ টাকা নগদ রয়েছে। হলফনামায় দেড় কোটি টাকার গয়নার উল্লেখ করেছেন তিনি। আয়কর দফতরের তল্লাশিতে বান্ডিল বান্ডিল নগদ উদ্ধার নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘এত টাকা আপনারা কেউ কখনও দেখেননি। ব্যাঙ্কের কর্মীরাই দেখেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদিজির নেতৃত্বে ব্য়বস্থা হবে।’

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, সাংসদ ধীরজ সাহুর ব্য়বসার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর ঠিকানায় যে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর আধিকারিকরা দাবি করেছেন, তা কোথা থেকে এল, তা কোথা থেকে এল, সেটা তিনি বলতে পারবেন এবং এই বিষয়টি তাঁর স্পষ্ট করা উচিত। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেসের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য়ের বিবিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

(Feed Source: abplive.com)