অভিযোগ…
সাধারণ মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের নিশ্চিন্ত সংস্থান! কিন্তু, তা নিয়েই উঠেছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। রেশন বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান থেকে খোদ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! কিন্তু, তাতে কি আদৌ বেনিয়মে বেড়ি পরানো গেছে? ভাঙা গেছে খাদ্য দফতরে গজিয়ে ওঠা ‘ঘুঘুর বাসা’? শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে রেশনের ১৫ লক্ষ কেজি রেশনের চাল উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে! তবে শুধু যে রেশন বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাই নয়। হুগলির গোঘাট থেকে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা…চাষিদের অভিযোগ, গুণগত মানের কারণ দেখিয়ে বেশি ধান নিয়ে তাঁদের কম টাকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে, আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের। ‘অন্নদাতা’কেই ‘ভাতে মারা’? এরই প্রতিবাদে শনিবার আমডাঙার বিডিও অফিসের ধান ক্রয় কেন্দ্রে ফসল বিক্রিই করলেন না তারা। এক কৃষকের কথায়, ‘২৭ বস্তা এনেছি। ২০ বস্তা নিয়েছে। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।’ আমডাঙার ধান ক্রয় কেন্দ্রের কর্মীর মতে, ‘শুনছি বেশি ধান চাইছে, তাই দেয়নি।’ এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি, আমডাঙার বিডিও অফিসের ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিক। খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ বললেন, ‘আমার এনিয়ে বলার এক্তিয়ার নেই-এসব আগে হত। এখন হয় না। মুখ্যমন্ত্রী জানেন বিষয়টা।’ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধান কেনার সময় ময়লা থাকার অজুহাতে কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ধান চাইছেন চালকল মালিকদের একাংশ। এই অভিযোগে, গত ৭ ডিসেম্বর হুগলির গোঘাটের কামারপুকুর রাজ্য় সড়ক অবরোধ করেন কৃষকদের একাংশ। বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে কৃষকদের অকথ্য় গালিগালাজ করেন গোঘাট থানার OC, অভিযোগ ওঠে এমনও। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট করে, অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার গোঘাটে যান বিরোধী দলনেতাও। তার পর গোঘাটের ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠান খাদ্যমন্ত্রী। রবিবার তিনি বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন, কারণ ওখানে যারা অবরোধ করেছিল, সকলে ধান বিক্রয় করে গিয়েছে। পারচেজিং অফিসারের ভূমিকা খতিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি দেরিতে আসাতেই সমস্যা। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।’ সবমিলিয়ে, এই বিতর্কের জল এখন কতদূর গড়ায়? ও তাতে আদৌ কৃষকের কোনও লাভ হয় কিনা সেটাই দেখার।
(Feed Source: abplive.com)