‘সোহাগ চাঁদ’ ধারাবাহিকে নতুন চরিত্রের প্রবেশ
আশালতা বৌদির চরিত্রে এবার থেকে কালার্স বাংলায় দেখা যাবে আভেরি সিংহ রায়কে। হরিপুরের সিনিয়র ইন্সপেক্টরের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। কী ভূমিকা তাঁর এই গল্পে?
গল্পের ধারা অনুযায়ী, আপাতত মিথ্যে কেসে ফেঁসে জেলবন্দি সোহাগ। আর তাকে সেখান থেকে উদ্ধারের কাজে হাত লাগাবে এই আশালতা বৌদিও। সোহাগের এই কঠিন সময়ে তার খুব কাছের হয়ে উঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আশালতা বৌদি। আশালতা এমনিতে খুবই কৌতুকে পরিপূর্ণ, যত্নশীল ও ইতিবাচক মহিলা। তিনি জানেন নিজের কাজ কীভাবে আদায় করতে হয়। তা সে বাড়িতেই হোক বা বরের পেশাগত জীবন।
এই চরিত্র প্রসঙ্গে এবিপি লাইভকে কী বললেন আভেরি?
নিজের সঙ্গে এই চরিত্রের কতখানি মিল খুঁজে পান আভেরি? অভিনেত্রীর কথায়, ‘বেশ অনেকখানি মিল রয়েছে। আমার মতোই এই চরিত্র মজাদার আবার তার মধ্যে মাতৃসুলভ একটা দিকও আছে। তবে আশালতার মতো কর্তৃত্ব ফলানোর ক্ষমতা হয়ে ওঠেনি এখনও। আশালতার মতো চরিত্র সেক্ষেত্রে আমাকে সাহায্যই করে। কারণ কিছুক্ষেত্রে সত্যিই আধিপত্য বিস্তার করতে জানতে হয়। বিশেষত কারও সঙ্গে ভুল কিছু হতে দেখলে।’
‘সোহাগ চাঁদ’ ধারাবাহিকের গল্প বা এর বিষয় সম্পর্কে আভেরি বলেন, ‘এই ধরনের প্রজেক্ট আরও অনেক হওয়া উচিত। তথাকথিত মোটা মেয়েদের জীবন যে শুধু ‘হাতি’, ‘কুমড়োপটাশ’ এইসমস্ত মজা ঠাট্টা দিয়ে বাতিল করে দেওয়া যায় না, ওদের জীবনটাও যে আর পাঁচটা মেয়ের মতোই হয়ে থাকে, ওদের ভাল লাগা, ওদের লড়াই কোনও ক্ষেত্রেই যে ব্যতিক্রমী নয় এটা নিয়ে এমন একটা ভাবনায় কাজ হচ্ছে সেটা সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। এর জন্য গোটা কালার্স বাংলার টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর যেহেতু আমি নিজে স্থূলকায় তাই ব্যক্তিগতভাবে এই শোটা আমার খুব কাছের মনে হয়। আর আমি সবেমাত্র যুক্ত হয়েছি তবুও ভীষণ সহযোগিতা পেয়েছি গোটা টিমের থেকে।’
কীভাবে নিজেকে তৈরি করলেন এই চরিত্রের জন্য? তিনি বলেন, ‘আশালতা বেশ তেজি। ওই তেজটুকু বাড়াতে হয়েছে। বাকি যদি মজার কথা বা মাতৃত্বসুলভ আচরণের কথা বলি, তাহলে সেটা তো আভেরির মধ্যে ভরপুর বর্তমান।’
সব মিলিয়ে ‘সোহাগ চাঁদ’ ধারাবাহিকে এখন একের পর এক ট্যুইস্ট। সব জানতে নজর রাখতে হবে কালার্স বাংলায়, প্রত্যেকদিন ঠিক সন্ধ্যা ৭টায়।
(Feed Source: abplive.com)