ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনা করে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে হবে, সুপ্রিম-রায়ের পর ফের বার্তা চিনের

ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনা করে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে হবে, সুপ্রিম-রায়ের পর ফের বার্তা চিনের
নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir( ভারতের অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানকার বিশেষ মর্যাদা বাতিলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক ভাবে বৈধ, গত কাল রায় দিয়েছে দেশে সুপ্রিম কোর্ট-ও (SC Verdict On Abrogation Of Article 370)। তবে, চিন (China On SC Verdict On Abrogation Of Article 370)  নিজ অবস্থানে অনড়। তারা বলছে, কাশ্মীর-সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মেটানো উচিত। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমাদের অবস্থান আগের মতোই স্পষ্ট।’

কী বলল চিন?
মঙ্গলবার এক পাক সাংবাদিক এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন মাও নিংকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতের অশান্তির জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আজও এই বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণ পথে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মেনে এই বিষয়টি আলোচনা করা উচিত। কথাবার্তা এবং আলোচনার মধ্যে দিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই সমস্যার সমাধান ও আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতাবস্থার পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
এ দেশের শীর্ষ আদালত গত কাল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ নিয়ে গত কাল যে রায় দিয়েছে, সে ব্যাপারে পাকিস্তান সোমবারই বলেছিল, ‘এর কোনও আইনি মূল্য নেই।’ ইসলামাবাদের ব্যাখ্যা, নয়াদিল্লি ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট, একতরফা ভাবে ভারতীয়  সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আন্তর্জাতিক আইন তার কোনও স্বীকৃতি দেয় না। বরাবর ইসলামাবাদের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত বেজিং যে এর বিপরীত সুরে কথা বলবে, এমন ভাবনার কোনও কারণ ছিল না। সে দিক থেকে দেখলে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের আজকের প্রতিক্রিয়া একেবারে আকাশ থেকে পড়ার মতো নয়।

ভারতের অবস্থান…
ঘটনা হল, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানও বরাবর স্পষ্ট। এই বিষয়ে অন্য কোনও দেশের কোনও মতামত যে নয়াদিল্লি গ্রাহ্য করবে না, সেটা বারে বারে বোঝানো হয়েছে। নয়াদিল্লির একটাই বক্তব্য, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে ভারতের তরফে কিছু বলা না হলেও দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে যে কোনও আপস করা হবে না, সে ইঙ্গিত পরিষ্কার। সেক্ষেত্রে দুই পড়শির সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক কি নতুন কোনও দিকে মোড় নিতে পারে? এমনিতেই গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে চিনের সঙ্গে সম্পর্কে চরম অবিশ্বাস দানা বেঁধেছিল। অন্য দিকে উরি হামলার পর থেকে ভারত-পাক সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ে। সব মিলিয়ে টানাপড়েন। এবার কি সেই সম্পর্কে নতুন কোনও মোড় আসতে পারে? বলবে সময়।

(Feed Source: abplive.com)