Nozomi Okuhara: ১০ গুণ বেশি উবর ভাড়া, লবিতেই চার ঘণ্টা! ভারতে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জাপানি নক্ষত্রের

Nozomi Okuhara: ১০ গুণ বেশি উবর ভাড়া, লবিতেই চার ঘণ্টা! ভারতে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জাপানি নক্ষত্রের

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘অতিথি দেব ভব’! এই তিন শব্দে ভারতের মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়ে এসেছে যুগের পর যুগ ধরে। যে দেশে তার অতিথি দেবতুল্য। তবে সম্প্রতি ভারতে এসে প্রাক্তন বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন ও অলিম্পিক্স পদক জয়ী, জাপানি ব্যাডমিন্টন তারকার নোজোমি ওকুহারার (Nozomi Okuhara) যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা দুঃস্বপ্ন বললেও কম। খেলতে এসে এই দেশের প্রতি তিনি কার্যত বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। পরপর সব ভয়ংকর ঘটনার সন্মুখীন হয়েছেন নোজোমি। আর সেসবই তিনি ফ্য়ানসনেটডটজেপি-তে লিখেছেন। গাড়ি পাওয়া থেকে হোটেল বুকিং! সার্বিক ভাবে সর্বভারতীয় ব্য়াডমিন্টন সংস্থার (Badminton Association of India) চরম উদাসীনতা ও অবহেলার শিকার হয়েছেন নোজোমি। নোজোমি হংকং থেকে দিল্লি হয়ে কটকে এসেছেন ওড়িশা ওপেন ব্যাডমিন্টন সুপার ১০০ খেলতে (Odisha Open badminton Super 100)।

নোজোমি লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের একাধিক বিমানবন্দরে আমার খারাপ স্মৃতি রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরেই, এক অপরিচিত ব্যক্তি আমার অনুমতি ছাড়া, আমার লাগেজ কার্টে রাখা শুরু করে। আমি ভয় পেয়ে থেমে গিয়েছিলাম, কিন্তু সে কিছু একটা বলেছিল, আমি এটাকে গেট পর্যন্ত নিয়ে যাব। আমি অস্বস্তি বোধ করি এবং প্রবেশদ্বারের দিকে এগিয়ে যাই।’ অ্যাপ ক্য়াব উবরও নোজোমিকে চরম নাজেহাল করেছে।  সেই সময় সন্দেহজনক বেশ কিছু ট্যাক্সির লোক আমার কাছে এসেছিল, কিন্তু আমি তাদের উপেক্ষা করতে থাকি, এই ভেবে যে, একদমই নয়। যাইহোক, আমি জানতে চেয়েছিলাম যে উবার কোথায় রয়েছে, একজনকে দেখে একটু সদয় মনে হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, উবরের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ, তাই আপনাকে বাইরে যেতে হবে। তখন গভীর রাত এবং আমার লাগেজও ছিল। আমি (স্প্যারিং প্রশিক্ষক) মিস্টার বেপ্পুর সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, এবং লোকটি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ‘আপনি কতদূর যাচ্ছেন? আপনি ট্যাক্সি নিতে পারেন’ সে পরামর্শ দেয়।’

নোজোমি জানিয়েছেন যে, উবর তাঁর ‘গলা কেটেছে’। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার জন্য় তাঁকে ১০ গুণ অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। প্রায় চার হাজার ইয়েন উবার ভাড়া দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৮৯০ টাকা। নোজোমি লেখেন, ‘আমার কাছে কোনও উপায় ছিল না। ৪০০০ ইয়েন দিয়েছিলাম। দশ গুণ বেশি। আমি জানি আমাকে পুরো বোকা বানানো হয়েছে। কিন্তু নিরাপদে লাগেজ নিয়ে, হোটেলে ফিরতে পারব ভেবেই আমি রাজি হয়ে যাই আনন্দে।’ নোজোমি জানিয়েছেন যে, হোটেলে গিয়ে তাঁর বিপত্তি আরও বাড়ে। চার ঘণ্টা তাঁকে হোটেলের লবিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমনকী  ব্য়াডমিন্টন সংস্থার একজন এসে নোজোমির সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন। নোজোমি তাঁকে বলেছিলেন, ‘একট মিনিট অপেক্ষা করুন. আমরা এখন ঠিক নেই, এবং আমাদের কোনও রিজার্ভেশন নেই এবং থাকার জন্য কোনো হোটেল নেই। আপনি এই ব্য়াপারে কিছু করতে পারেন?’ এরপর পিভি সিন্ধু ও এইচ এস প্রণয়ের সঙ্গে নোজোমি যোগাযোগ করেন। তারপর মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন।

ব্যাডমিন্টন অ্য়াসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সচিব সঞ্জয় মিশ্র এই প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘দেখুন আমরা বুঝতে পারছি নোজোমিকে কী অবস্থার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে ওঁর থাকা এবং যাতায়াত সংক্রান্ত কোনও মেইল ওঁর থেকে পাইনি। টেকনিক্য়াল ইস্যু ও যোগাযোগের অভাবের জন্য় আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। এই ঘটনা দুর্ভাগ্য়জনক। তবে যখনই জানতে পারি যে, উনি সমস্য়ায় পড়েছেন, তখনই আমাদের আয়োজকদের থেকে সবরকম সাহায্য় করা হয়েছে। ও অনেক বড় প্লেয়ার এবং আমাদের অতিথিও। ভবিষ্যতে এরকম কিছু ঘটবে না।’ বোঝাই যাচ্ছে যে, দুই তরফেরই যোগাযোগ সংক্রান্ত কোনও সমস্য়ার জন্য় এমনটা হয়েছে।

(Feed Source: zeenews.com)