ওয়াশিংটন: আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটসদের ভোট দেবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সরকারের অর্থনৈতিক নীতি নিয়েও। তার জেরে এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (US President) জো বাইডেনের (Joe Biden) কটাক্ষের শিকার হলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। সরকারি রীতিনীতি পছন্দ না হলে মাস্ক চাঁদে আস্তানা নিতে পারেন বলে মাস্ককে কটাক্ষ করলেন বাইডেন (Musk Moon Trip)।
সরকারের সমালোচনা করায় কটাক্ষের শিকার মাস্ক
সম্প্রতি বাইডেন সরকারের অর্থনৈতিক নীতির তীব্র সামলোচনা করেন মাস্ক। দেশের সরকার ভুল পথে হাঁটছে, ঝড়ে সবকিছু তছনছ হয়ে যেতে পারে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দাবি, শীঘ্রই মন্দা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে আমেরিকায়। তার জেরে নিজের সংস্থায় তাঁকেও কাটছাঁট করতে হতে পারে। বাইডেনের উপর যে একেবারেই আস্থা নেই তাঁর, তাো জানিয়ে দেন।
মাস্কের এই মন্তব্যেই চটেছেন বাইডেন। শুক্রবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, “ইলন মাস্ক যা বলছেন, তা ভিত্তিহীন। ফোর্ড,স্টেলান্টিস, আইবিএম-এর মতো সংস্থা আমেরিকায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাই ওঁকে বলতে চাইব, চাঁদ অভিমুখে যাত্রার আগাম শুভেচ্ছা রইল।”
সরকারের সমালোচনা করলে ভারত উপমহাদেশে নেতা-মন্ত্রীদের মুখে এমন কথা শোনা যায় বটে। কোনও রকম সমালোচনা উড়ে এলেই, সমালোচককে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান চলে যাওয়ার নিদান দেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। আবার পড়শি দেশের রাজনীতিকরাও সমালোচকদের ভারতে বসবাস করার নিদান দেন। কিন্তু আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্টের মুখে সচরাচর এমন কথা শোনা যায় না।
তাই মাস্ককে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন বাইডেনও। কারণ মাস্কের সংস্থা ‘স্পেসএক্স’-এর (SpaceX) চন্দ্রাভিযানের পুরোটাই আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) তত্ত্বাবধানে হতে চলেছে। মাস্কের সংস্থার অত্যাধুনিক মহাকাশযানে চাপিয়েই চাঁদে প্রথম মহিলা মহাকাশচারীকে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে মাস্কের সংস্থাকে ল্যান্ডার তৈরির বরাতও দিয়েছে নাসা।
বিদ্রূপের শিকার আমেরিকার প্রেসিডেন্টও
অর্থাৎ চন্দ্রাভিযানের জন্য় আমেরিকার সরকারের কাছ থেকে মোটা টাকা নিচ্ছেন মাস্ক। তাই মাস্কের চন্দ্রাভিযানের সঙ্গেও যে সরকারি টাকা জড়িয়ে রয়েছে, তা প্রেসিডেন্টকে মনে করিয়ে দিয়েছেন সে দেশের নাগরিকরা। তাঁদের মতে, সরকারের টাকায় মাস্ক চাঁদে গেলে, অভিযান সফল হওয়াই কাম্য। নইলে সরকারের টাকাই ডুববে।
(Source: abplive.com)