মহারাষ্ট্রের কারজাতের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘটনা। শয়ে-শয়ে পড়ুয়ারা সেখানে ভর্তি হচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য। তবে যে সে উচ্চশিক্ষা মোটেই নয়। এখানে পড়তে পারলে একেবারে বিদেশি ডিগ্রি পাওয়া যাবে। ব্রিটেনে পড়লে যে ডিগ্রি পান পড়ুয়ারা, এখানেও নাকি সেটাই দেওয়া হয়। কিন্তু পড়াশোনা কি বিদেশি মানের? বা বিদেশি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে কোনও চুক্তি আছে? নাহ, সেসF বের বালাই নেই।
এর পর চোখ রাখা যাক বেঙ্গালুরুর এক কলেজে। সেখানেও একই প্রতিশ্রুতি। চান্স পাওয়া নাকি খুব কঠিন নয়। তবে পড়তে গেলে খরচা আছে। বিদেশি ডিগ্রি কr আর এত সস্তা! কিন্তু বিদেশের ডিগ্রি কীভাবে পাওয়া যায় ওই কলেজে? বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এসে পড়ান? নাহ্। কোনও বিদেশি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে? তাও নাহ্। তবে? আদতে গোটাটাই ভুয়ো!
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা। সারা দেশ জুড়ে এমন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠেছে। যারা বিদেশি ডিগ্রি বিলোচ্ছে। ওদিকে শয়ে শয়ে পড়ুয়াও ভিড় করছে সেখানে। ইউজিসির খাতায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কি বৈধতা রয়েছে আদৌ? এই নিয়ে নোটিশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (University Grants Commission)।
কী বলছে ইউজিসি (UGC)?
ইউজিসি জানিয়েছে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির কথা অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে। ইউজিসিকে না জানিয়েই এই ধরনের কাজ হয়েছে। ইউজিসি এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোনও স্বীকৃতি দেয়নি। তাই এই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রির কোনও বৈধতা নেই। এই দিন জারি করা নোটিশে সাবধান করা হয়েছে পড়ুয়াদের।
কী বলছে পড়ুয়ারা
প্রসঙ্গত, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কারজাতের ওই প্রতিষ্ঠানের এক পড়ুয়া জানান, ভর্তির সময় তাঁদের মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল। পরে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে তারা জানতে পারে, ওই কলেজের আদৌ কোনও বৈধতা নেই। ফলে তার ডিগ্রিরও কোনও বৈধতা নেই। লাখ লাখ টাকা ও তিন বছর খরচের পর এই তথ্য জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই তারা অন্ধকারে। ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তার মাঝেই কিছু পড়ুয়া এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। আদালতে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)