কিটেই বোঝা যাবে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি, আবিষ্কার বাঙালি বিজ্ঞানীর, বিশেষ সম্মান

কিটেই বোঝা যাবে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি, আবিষ্কার বাঙালি বিজ্ঞানীর, বিশেষ সম্মান

নিপা ভাইরাস। মানব শরীরে থাবা বসালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু সেই ভাইরাসকে চটজলদি চিহ্নিত করার কোনও পদ্ধতি এতদিন ছিল না। তবে এবার বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিষ্কার কার্যত তাক লাগিয়ে দিল গোটা বিশ্বকে। আর সেই কিটের যিনি আবিস্কর্তা তিনি হলেন বিজ্ঞানী শ্যামসুন্দর নন্দী।

তাঁর এই আবিষ্কার কার্যত বড় উপকার করবে মানব সমাজকে। তিনি ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সহ অধিকর্তা। তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে ইন্ডিয়ান ভাইরোলজিকাল সোসাইটির একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছে। এই কিট আবিষ্কারের জেরে তিনি বেস্ট ইনোভেশন অ্য়াওয়ার্ড পেয়েছেন বলে খবর। তাঁর এই আবিষ্কারকে ঘিরে গর্বিত বাংলা।

তবে শুধু নিপা ভাইরাসের কিট আবিষ্কার নয়। তিনি এর আগে করোনা ও সিলিকোসিস ধরা পড়ার, চিহ্নিত করার কিট আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। বরাবরের মেধাবী ছাত্র তিনি। পুরুলিয়ার হুড়ার বড়গ্রামের বাসিন্দা তিনি। আইআইটি দিল্লি থেকে তিনি পিএইচডি করেছিলেন। পঞ্চাশ পেরিয়েছে বয়স। আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিনোমিক্সে পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ করেছিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে বোঝা যায় না। ভাইরাল ফিভার বলে মনে হয়। পরে দেখা যায় তিনি নিপাতে আক্রান্ত। এই রোগের প্রতিষেধক এখনও নেই। রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে তিনি রক্ষা পেয়ে যান। বলা হয় সাধারণত বাদুড় থেকে ছড়ায় এই রোগ। বাদুড়ের আধ খাওয়া ফল থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

তবে এবার আর নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না সেটা চিহ্নিত করার জন্য বড় ল্যাবরেটরির প্রয়োজন হবে না। সাধারণ পরীক্ষাগারে ওই কিট দিয়েই এটা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে তাঁর মূত্রের নমুনা বা সেরিব্রাল স্পাইনাল ফ্লুইড এই কিটে ফেললেই বোঝা যাবে সেই ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নাকি তিনি হননি। তবে এই কিট এবার দিশা দেখাবে গোটা মানব সমাজকে।

(Feed Source: hindustantimes.com)