প্রতিপক্ষ রাশিয়ান হওয়ায় নাম তুলল ইউক্রেনের কন্যা, ফাইনালে ধরে আনা হল পুরুষকে

প্রতিপক্ষ রাশিয়ান হওয়ায় নাম তুলল ইউক্রেনের কন্যা, ফাইনালে ধরে আনা হল পুরুষকে

নেহাতই একটা প্রদর্শনী টুর্নামেন্ট। আর সেই টুর্নামেন্টে এক উদ্ভট ঘটনা ঘটল। যে ঘটনার জেরে লাইমলাইটে চলে এল সেই টুর্নামেন্ট। কিন্তু কী হয়েছিল ঘটনাটি? ফ্রান্সের একটি প্রদর্শনী প্রতিযোগিতার মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে রাশিয়ান প্রতিপক্ষ মিরা আন্দ্রেইভার বিরুদ্ধে নামার কথা ছিল ইউক্রেনের টেনিস তারকা মার্তা কস্তুকের। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পরিস্থিতিতে রাশিয়ান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলবেন না বলে নাম তুলে নেন ইউক্রেনের তারকা। সেই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের তারকার পরিবর্ত হিসেবে এক পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়কে বেছে নেন উদ্যোক্তারা। যে ইয়ানিস গাজাউয়ানি ডুরান্ডের এটিপি র‍্যাঙ্কিং হল ১,১৪৫। সেখানে ১৬ বছরের আন্দ্রেইভার ডব্লুউটিএ র‍্যাঙ্কিং হল ৫৭। যে লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত ৫-৭, ২-৬ ব্যবধানে হেরে যান রাশিয়ান কিশোরী।

যদিও পুরো ঘটনাটি নিয়ে নেটপাড়ায় তোপের মুখে পড়েছেন ইউক্রেনের তারকা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ এক নেটিজেন লেখেন, ‘কস্তুক এবং তাঁর এই কাজকর্মে হাঁপিয়ে উঠছি।’ অপর একজন বলেন, ‘কস্তুক যেমন কাজ করে থাকেন, ঠিক সেটাই করলেন।’ একজন আবার দাবি করেন, শিরোনামে আসার জন্য সেই কাজটা করেছেন কস্তুক। তিনি খুব ভালোভাবেই জানতেন যে ফাইনালে রাশিয়ান তরুণীর বিরুদ্ধে নামতে হতে পারে।

এক নেটিজন আবার বলেন, ‘কস্তুক এবং তাঁর টিমের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’ অপর একজন প্রশ্ন করেন, ‘এটা যদি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হত, তাহলে কী করতেন কস্তুক?’ নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেষমুহূর্তে খেললেন না কস্তুক, তাঁর বয়স মাত্র ১৬। তাঁকে কেন এরকম বিড়ম্বনার মুখে ফেলা হল? উল্লেখ্য, কস্তুকের ডব্লুউটিএ র‍্যাঙ্কিং হল ২৮।

এমনিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া এবং রাশিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র বেলারুশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কস্তুক। যতদিন না ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ না হচ্ছে, ততদিন এটিপি এবং ডব্লুউটিএ ট্যুর থেকে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন।

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আগ্রাসী দেশের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে আমাদের। কারণ ডব্লুউটিএ তাঁদের ব্যান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়া এবং বেলারুশ যা করছে, ইউক্রেনের মানুষ যে এরকম পরিস্থিতিতে আছেন। অন্য কথায় বলতে গেলে ওরা ইচ্ছা করে যে কাজটা করছে, সেটার প্রভাব পড়ছে ইউক্রেনের খেলোয়াড়দের উপরে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)