দাউদের অসুস্থতার খবর আসার পরেই পাকিস্তান জুড়ে তৎপরতা। লাহৌর, করাচি, ইসলামাবাদের মতো শহরে কড়া সতর্কতা। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সার্ভার ডাউন, কাজ করছে না এক্স, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
এর আগে পাকিস্তানেই আছে দাউদ, একথা স্বীকার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দাউদ ইব্রাহিম সম্পর্কে ভোলবদল করেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি ছিল, দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে আছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। অথচ সেই সময় ইমরান সরকার জঙ্গিদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। তাতে নাম ছিল দাউদের।
করাচিতে দাউদের দু’টি বাড়ির ঠিকানাও উল্লেখ করা হয়েছিল। জঙ্গিদের অর্থ সাহায্যে রাশ টানতে পদক্ষেপ না করায় পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভূক্ত করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। এই অপবাদ ঘোচাতে ৮৮টি জঙ্গি সংগঠন ও তাদের মাথাদের নামের তালিকা প্রকাশ করে পাকিস্তান। তাতেই নাম ছিল দাউদের।
এদিকে, দাউদ ইব্রাহিমের সন্ধান দিতে পারলে মিলবে ২৫ লাখ টাকা। ডনের নাগাল পেতে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা NIA। সেই সঙ্গে দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহিল শেখ বা ছোটা শাকিলের মাথার দাম ২০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল তারা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত ১৮ অগাস্ট NIA’র তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, দাউদের ডি-কোম্পানি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক, যা টেরর ফান্ডিংয়ের জন্য লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আলকায়দার মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। দাউদ ও ছোটা শাকিলের পাশাপাশি ডি-কোম্পানির আরও ৩ সদস্যের নামে ১৫ লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে NIA।
(Feed Source: abplive.com)