একটা দুটো নয়। একসঙ্গে ৩০০টা পাথর (300 stones in kidney)। কিডনির ভিতর থেকে এত পাথর বার করতে করতে রীতিমতো হাঁপিয়ে গেলেন চিকিৎসকরাও। সম্প্রতি তাইওয়ানের এক তরুণীর কিডনিতেই পাওয়া গিয়েছে এতগুলি পাথর। বছর কুড়ির ওই তরুণী জ্বর ও ভীষণ কোমরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেখা যায়, তাঁর কিডনিতে পাথর হয়েছে। সেই পাথর অপারেশন করে বার করতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান চিকিৎসকরা। কারণ একসঙ্গে ৩০০টি পাথর জমে রয়েছে কিডনিতে। পাথরগুলিকে একটি নামও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের কথায়, সবকটি পাথরকে একসঙ্গে রাখলে দেখে মনে হবে একটি ‘ছোট স্টিমড বান’। কোনও স্টোনের আকৃতি ৫ মিমি তো কোনওটার আকার দুই সেন্টিমিটার।
কীভাবে কিডনিতে পাথর হয়?
কিডনিতে কীভাবে পাথর হয়? বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিছু বিশেষ পদার্থ এর জন্য দায়ী। তার মধ্যে রয়েছে অক্সালেট, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এই ধরনের যৌগগুলি মূত্রের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। তখন মূত্র ত্যাগকরতে রীতিমতো সমস্যা হয়। এই উপাদানগুলিই একত্র হয়ে পাথরের আকার নেয়।
এর জন্য নাকি দায়ী এক চা!
তরুণীটির কিডনিতে পাথর হওয়ার অবশ্য অন্য কারণ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তা হল অতিরিক্ত পরিমাণে বাবল টি খাওয়া। সেটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার জন্যই কিডনিতে পাথর হয়েছে। কতটা অতিরিক্ত খেতেন তিনি? এক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, তিনি জলের বদলে চা-ই খেতেন নিয়মিত। তাতেই এই বিপত্তি। বাবল বা বোবা চা তাইওয়ানের একটি বিখ্যাত চা।বাবল চা ১৯৮০ সাল থেকে তাইওয়ানে এটি বেশ জনপ্রিয়। তাইওয়ান থেকে যারা বিদেশে পাড়ি দেয়, তাদের হাত ধরেই এই চায়ের খ্যাতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই চা ১৯৯০ সাল নাগাদ বিখ্যাত হয়।
কেন কিডনিতে পাথর হয়?
কিডনিতে পাথর হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে যেমন মানুষের কিছু অভ্যাস দায়ী, তেমনই শারীরিক নানা সমস্যাও দায়ী হতে পারে।
- খাবারের উপাদানে সোডিয়াম, অক্সালেট,ক্যালসিয়াম ইত্যাদি বেশি থাকলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- জল কম খাওয়ার কারণে হতে পারে।
- ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অর্থাৎ মূত্রনালিতে সমস্যা থাকলেও পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
- শারীরিক সমস্যা যেমন বেশি থাইরয়েড থাকলে মূত্রনালিতে পাথর হতে পারে।
- এছাড়াও, পরিবারে আগে কারও হয়ে থাকলে অন্যদের হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
(Feed Source: hindustantimes.com)