মন্দির–মসজিদ বিতর্ক ত্রিপুরায়, নমাজ বন্ধ করার অভিযোগ, CM–কে চিঠি মুসলিমদের

মন্দির–মসজিদ বিতর্ক ত্রিপুরায়, নমাজ বন্ধ করার অভিযোগ, CM–কে চিঠি মুসলিমদের

এবার মন্দির–মসজিদ বিতর্ক ত্রিপুরায়। এই বিতর্কের জেরে সেখানকার একটি মসজিদে নমাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। হিন্দু পক্ষের দাবি, ওই মসজিদ চত্বরে আগে জগন্নাথ মন্দির ছিল। তবে এই দাবির বিরোধিতা করেছে মুসলিম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (ত্রিপুরা)। তাদের দাবি, দক্ষিণ ত্রিপুরার রাজনগরের দিমাতলির ওই মসজিদ চত্বরে কোনও মন্দির ছিল না। অবিলম্বে যাতে মসজিদে নমাজ পড়তে দেওয়া হয় সে বিষয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার হস্তক্ষেপ চেয়েছে সংগঠনটি। এদিকে, বিরোধীরা এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে এএসআইয়ের সাহায্যে সমীক্ষার দাবি জানিয়েছে।

মুসলিম সংগঠনের বক্তব্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই প্রতিবছর ওই দিনটিতে সেখানে একটি সংহতি মেলা হয়ে থাকে। তৎকালীন সরকারের আমলে এই মেলা চালু করা হয়েছিল। তাতে হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষই অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাছাড়া প্রচুর সংখ্যক মুসলিম এই মসজিদে নমাজ পড়ে থাকেন। তবে ২০১৮ সালে বিজেপি জোট ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই অনুষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘পর্যটন মেলা’ রাখা হয়। এর আগে হিন্দুদের সংগঠন জাগরণ মঞ্চ গত ১০ ডিসেম্বর সেখানে ভগবান জগন্নাথের মন্দির পুনরুদ্ধারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল। তবে এবছর বিতর্কের জেরে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

এলাকায় বসবাসকারী মুসলিম পরিবার সম্প্রতি একটি চিঠিতে রাজনগরের বিডিও’কে মসজিদের ভিতরে নমাজ পড়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলাশাসককেও এবিষয়ে একটি পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে। জমিয়তের ত্রিপুরার প্রধান মুফতি তাইবুর রহমান সেখানে মন্দির থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গত ১২ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানে সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ নমাজ পড়ছেন। কিন্তু এখন সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছেন মুসলিমরা। কারণ তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই মসজিদে যাতে নমাজ পড়া যায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি এবং সম্প্রীতির পক্ষে।’ অন্যদিকে, এই বিতর্ক ওঠার পরে বিরোধী দল তিপ্রা মোথা পার্টি এই ঘটনায় এএসআইকে দিয়ে সমীক্ষা করানোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)