মঙ্গলবার দিল্লিতে I.N.D.I.A জোটের চতুর্থ বৈঠকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে খড়্গের নাম প্রস্তাব করেন মমতা। বিষয়টি সামনে আসা মাত্রই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত না হলেও, মমতার এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কার্যকারণ বের করতে বসে পড়েন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মমতা যে খড়্গের নাম প্রস্তাব করেছেন, সেই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন সিপিএম-এর (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, “এতদিন ধরে আলোচনা চলছে। কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাহলে আগে থেকে এত আলোচনা কেন? তৃণমূলের মুখপাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম তুলে ধরছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বলছেন, রাহুল গাঁধী নন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ হোন মল্লিকার্জুন খড়্গে। অন্য একজনকে দিয়ে অখিলেশ যাদবের নামও বলাচ্ছেন।”
আক্রমণের ধার বাড়িয়ে সুজন আরও বলেন, “এজেন্ট বোঝেন এজেন্ট? আবারও বলছি, বিজেপি-র দ্বারা প্লান্টেড এজেন্ট, যাতে নানা নাম বলে সব তালগোল পাকিয়ে দিয়ে বিজেপি-কে সাহায্য করা যায়। বিজেপি-র উদ্দেশ্য সার্থক করতে সহায়তা করছেন মমতা।” তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যদিও এতে কোনও রাজনৈতিক কৌশল পাচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, “রাহুল গাঁধীকে তো কংগ্রেসই সভাপতি করেনি! তাঁর প্রতি অনাস্থা দলেরই বা হতে পারে রাহুল নিজেই চাননি। আমাদের নেত্রী সেখানে কংগ্রেস সভাপতির পদকে সম্মান জানিয়ে থাকলে, সে তো ভাল কথা! রাহুল কেন সভাপতি নন, সেটা কংগ্রেসই বলতে পারবে।”
যদিও I.N.D.I.A জোটকে নিয়ে বিজেপি বিন্দুমাত্র ভাবিত নয় বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাটার্য। তাঁর কথায়, “কে, কী বলছেন, আমরা তা নিয়ে চিন্তিত নই। এ ব্যাপারে কোনও উৎসাহ নেই আমাদের। বাংলায় যে সংঘবদ্ধ জোট তৈরি হয়েছে, যাতে মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরী, নৌশাদ সিদ্দিকি এবং তৃণমূল রয়েছে…তা দেখে ভাল লাগছে। সিপিএম-এর মিছিল করার অভ্যেস আছে, ভাল স্লোগানও দেয়। আর যে জোটের কথা বলছেন, তার ভবিষ্যৎ ভূতের থেকেও খারাপ। মা কুমারী, মেয়ে চলল শ্বশুরবাড়ির মতো।” তবে বিজেপি কটাক্ষ করলেও, বৈঠক ভাল হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জোটসঙ্গীদের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়ে যাবেও বলে খবর মিলছে I.N.D.I.A শিবির থেকে।
(Feed Source: abplive.com)