eShram পোর্টালে নাম লেখানোয় এগিয়ে বিভিন্ন অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত বাংলার কর্মীরা

eShram পোর্টালে নাম লেখানোয় এগিয়ে বিভিন্ন অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত বাংলার কর্মীরা

সারা দেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নির্ভর গিগ কর্মীদের সংখ্যা কমবেশি ৭৭ লাখ। ২০২২ সালের নীতি আয়োগের রিপোর্ট (Niti Aayog report) এমনটাই বলছে। এই কর্মীদের জন্যই দুই বছর আগে খোলা হয় ই-শ্রম পোর্টাল (eShram portal)। ২০২১ সালের অগস্ট মাস থেকে সেই পোর্টালটিতে কাজ শুরু হয়েছে। গত আড়াই বছরে তাতে নথভুক্ত কর্মীদের সংখ্যা, ছুঁয়েছে এক লাখের কোঠা। সম্প্রতি লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে এমনটাই জানালেন শ্রমমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। সোমবার একটি প্রশ্নের উত্তরে লিখিতভাবে এই উত্তর দেন তিনি।

কোন সালে কতজন নথিভুক্ত করেছেন

২০২১ সালের ২৬ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল ই-শ্রম পোর্টাল। সেই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট নথিভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ২৩,৯৭৭ জন। এর পরের বছর ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২৭, ০৪৮ জন নথিভুক্ত করান। চলতি বছরে গোড়া থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নথিভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ৫১০২৫ জন। যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ বলা যায়। মোটের নিরিখে এই নথিভুক্তিকরণ এক লাখ ছুঁয়েছে।

কোন রাজ্যের কী হাল

কোন রাজ্যের কতজন ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত করিয়েছেন সেই তথ্যও এই দিন দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নথিভুক্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গের কর্মীরা। তিনটি বছরেই বাংলা এগিয়ে রয়েছে রেজিস্ট্রেশনের নিরিখে। চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, এই রাজ্য়ের ২৩,৫৯৭ জন নথিভুক্ত করিয়েছে নিজেদের নাম। গিগ কর্মী (gig workers) বলতে সাধারণত চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের বোঝানো হয়। অন্যদিকে প্ল্যাটফর্ম কর্মী (platform worker) বলতে অনলাইন পোর্টাল বা অ্যাপ বা সংস্থায় কর্মরতদের বোঝানো হয়।

অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়েও তথ্য কেন্দ্রের

অসংগঠিত ক্ষেত্রদের জন্যও একইভাবে নথিভুক্তির কথা বলেছিল কেন্দ্র। তাতে লক্ষ্য ছিল ৩৮,৩৭,৪২,৩৯৪টি রেজিস্ট্রেশনের। তাতে মোট নথিভুক্ত কর্মীদের সংখ্যা ২৯,২২,৪৪,৮৪৮ জন। যা মোট সংখ্যার ৭৬.১৬ শতাংশ। এই দিন উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি বলেন, লক্ষ্যসীমার থেকে বেশি নথিভুক্তি হয়েছে তিন রাজ্যে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা। অন্যদিকে খুব কম সংখ্যক কর্মী নিজদের নথিভুক্ত করেছে সিকিম, গোয়ার মতো রাজ্যগুলিতে।

(Feed Source: hindustantimes.com)