সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খোয়ালেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খোয়ালেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। অনলাইনের ব্যবহার যত বাড়ছে ততই সাইবার প্রতারণাও বেড়ে চলেছে। কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে, কখনও বা টিকিট বুকিংয়ের নামে আবার প্যান কার্ড আপডেট করার নামে সাইবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। যার ফলে প্রচুর টাকা খোয়াছেন অনেকেই। আর এবার সাইবার প্রতারকদের জালে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হলেন বোম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি  রমেশ দেবকিনন্দন ধানুকা। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কোলাবা পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্যান কার্ডের তথ্য আপলোড করার নামে একটি মেসেজ আসে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফোনে। এরপর মেসেজে পাঠানো একটি লিঙ্ক খুলে প্যান কার্ডের যাবতীয় তথ্য আপডেট করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৯,৯৯৮ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। সাইবার প্রতারককে খুঁজছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর অভিযোগ জানান অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে তিনি বাড়িতে ছিলেন। তখন তাঁর মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘প্রিয় গ্রাহক আপনার এসবিআই ইয়োনো অ্যাকাউন্ট আজ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। অনুগ্রহ করে আপনার প্যান কার্ড আপডেট করুন।’

মেসেজে একটি লিঙ্কও পাঠানো হয়। প্যান আপডেটের জন্য লিঙ্কটিতে ক্লিক করতে বলা হয়। তিনি লিঙ্কে ক্লিক করে প্যান কার্ডের যাবতীয় তথ্য আপডেট জমা দেন। এরপর ব্যাঙ্কের তরফে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ফোন করা হয়। ফোনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কোনও লেনদেন করেছেন কি না। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও ধরনের লেনদেন তিনি করেননি। তখন ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট  থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তখন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তখন সাইবার হেল্পলাইন ১৯৩০–এ ফোন করে অভিযোগ জানান। এছাড়া কোলাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জমা দেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।  এছাড়া আইটি আইনের ধারাও যোগ করেছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(Feed Source: hindustantimes.com)