
কালীঘাট মন্দিরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে পুজো দিয়ে নিউটাউনের হোটেলে ফিরবেন। সেখানে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শাহর। প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠকের পর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলীয় বৈঠক সেরে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
শাহর লক্ষ্য়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল চূড়ান্ত করা । রাজ্যের ৪২টি আসনেই কীভাবে দল লড়বে তা ঠিক করা। সেই লক্ষ্যে, এর আগে যখন তিনি রাজ্যে এসেছিলেন তখন নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রত্যেকটা লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট দিতে। সেই অনুযায়ী, কীরকম প্রার্থী দিতে হবে, সংগঠনকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কী ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে হবে…গোটা বিষয়টি নিয়ে টানা ৩ ঘণ্টা ধরে তিনি বৈঠক করবেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি যাবেন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। সেখানে দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি সভা করবেন। সেখানে বক্তব্যও রাখবেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা হোটেল, তারপর চলে যাবেন বিমানবন্দরে। দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ।
কয়েকমাস আগেই রাজ্য়ে এসে ৩৫টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে, রাজ্য়ের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য়ে ১৮টিতে জেতে বিজেপি। তারপর অবশ্য় বিজেপির টিকিটে জয়ী দুই সাংসদ, বাবুল সুপ্রিয় ও অর্জুন সিংহ তৃণমূলে চলে গেছেন। বাবুলের ছেড়ে যাওয়া আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি সূত্রে দাবি, এই প্রেক্ষাপটে গতবার যে আসনগুলোতে বিজেপি হেরেছে, সেগুলির জন্য় নতুন স্ট্র্য়াটেজি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্য়ে ৪টে করে আসন পিছু একজন স্পেশাল অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়, কোন কোন কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা আছে, কোথায় ভাল লড়াই দেওয়ার জন্য় তারা প্রস্তুত, কোথায় সেই সম্ভাবনা কম, তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। প্রস্তুতি বৈঠকের আগে, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন, রাজ্য় বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
(Feed Source: abplive.com)