নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বিশ্বজিতের ম্যুরাল টেরাকোটার কাজে সেজে উঠছে অযোধ্যার রাম মন্দির। মাঝে হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আর মাত্র কয়েকদিনেই শেষ করে ফেলতে হবে ১০০ টি ম্যুরাল টেরাকোটা তৈরির কাজ। ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে। তার আগেই সেরে ফেলতে হবে সবকিছু। রাত-দিন এক করে কৃষ্ণনগর বেলেডাঙ্গা মতিসুন্দরীতে বিশ্বজিতের স্টুডিওয় চলছে কাজ।
শিল্পী বিশ্বজিৎজানালেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রবেশপথে বসানো হচ্ছে রামায়ণে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনার ২০০ টি ম্যুরাল। তার মধ্যে ১০০টি টেরাকোটার তৈরি। এছাড়াও অন্যান্য শিল্পীদের তৈরি পাথর, সিমেন্ট, সেরামিক, টাইল, ফাইবার, দিয়ে তৈরি ১০০ টি ম্যুরাল বসছে। এই কাজের জন্য বিশ্বজিৎকে কৃষ্ণনগর থেকে অযোধ্যা যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রায়শই।
কীভাবে যোগাযোগ? জানা গেল, ইতিমধ্যেই অযোধ্যা সরকারি সংগ্রহশালায় রয়েছে তাঁর হাতের টেরাকোটার কিছু শিল্পকর্ম। সেই শিল্পকর্মের জন্য পেয়েছিলেন সংবর্ধনাও। যোগী আদিত্যনাথের তরফে এসেছিল সম্মাননা। সেই সূত্রেই রাম মন্দিরে কাজের যোগাযোগ। রামায়ণের বিভিন্ন পর্বের মূল ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে কাজ করছেন তিনি। তুলে ধরছেন রামায়ণের বিভিন্ন গল্প। প্রায় ২০ ফুট চওড়া এক একটি ম্যুরাল তৈরি হচ্ছে তাঁর ওয়ার্কশপে।
অযোধ্যায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন শিল্পীর কাজ। এর আগেই জানা গিয়েছিল, দত্তপুকুরের মহম্মদ জামালউদ্দিনের বানানো রামের মূর্তি জায়গা পেতে চলেছে অযোধ্য়ার রামমন্দিরে। তাঁর গড়া মূর্তি এর আগে দেশ-বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু, যখন রামের মূর্তি গড়ার অর্ডার পেয়েছিলেন, তখন শিল্পী জানতেন না, কোন চমক অপেক্ষা করে আছে তাঁর জন্য়। তাঁর হাতের কাজ অযোধ্যার রামমন্দিরে জায়গা পাবে শুনে তিনি তো উচ্ছ্বসিত বটেই, খুশির হাওয়া তাঁর সঙ্গী কারিগরদের মধ্যেও।
(Feed Source: abplive.com)