আর যা…
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমেরিকা-সহ গোটা পশ্চিমি দুনিয়া যখন নাগাড়ে রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে যাচ্ছে, তখন নয়াদিল্লি কেন স্পষ্ট ভাষায় মস্কোর বিরোধিতা করেনি, এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। শুধু তাই নয়। রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়েও পশ্চিমি দুনিয়ার বিরাগভাজন হতে হয় ভারতকেও। তীব্র চাপের মুখেও ভারতের অবস্থান অনড় ছিল। তবে একই সঙ্গে ভারত যে আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথে রুশ-ইউক্রেন সমস্যার সমাধানেই আস্থা রাখে, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথাও হয় রুশ প্রেসিডেন্টের। সব মিলিয়ে দেখলে রুশ প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক মন্তব্যের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মহল।
পুতিন-উবাচ…
সূত্রের খবর, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে রাশিয়ায় দেখতে পেলে খুবই আনন্দিত হব। সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় এবং দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারব। বিপুল পরিমাণ কাজ বাকি রয়েছে।’ রুশ প্রেসিডেন্টের অনুরোধ, ভারতের বিদেশমন্ত্রী যেন প্রধানমন্ত্রীকে রাশিয়ার আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেন। রাশিয়া যে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে, সে কথাও বলেন পুতিন। এর আগেও মোদিকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করতে শোনা গিয়েছে পুতিনকে। প্রতি-সৌজন্যের ছবিও দেখেছে আন্তর্জাতিক মহল। কূটনীতিবিদরা অবশ্য় মনে করাচ্ছেন, ভারত-রাশিয়া ‘বন্ধুত্বের’ এই ছবি নতুন নয়।
তবে কূটনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা স্থায়ী প্রতিপক্ষ বলে যে কিছু হয় না, সে কথাও আর অজানা নয়। সে দিক থেকে দেখলে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরও দু-দেশের সম্পর্ক যে রকম থেকেছে, তা নজর কেড়েছে অনেকেরই।
(Feed Source: abplive.com)