জালিয়াতির অভিযোগের মাঝে ১ লাখ শিক্ষকের রি-ভেরিফিকেশনের নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

জালিয়াতির অভিযোগের মাঝে ১ লাখ শিক্ষকের রি-ভেরিফিকেশনের নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

গত মাসেই বিহারে ১ লাখ নতুন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আভিযোগের প্রেক্ষিতে বছর শেষে নিযুক্ত শিক্ষকদের ফের একবার যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নির্দেশ দিলেন বিহারের শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কেকে পাঠক। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই রি-ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ৪০০০ জন নিযুক্ত শিক্ষককে রি-ভেরিফিকেশনের জন্য ডেকেছিল শিক্ষা দফতর। সেখানে দেখা যায়, তিনজন শিক্ষক ভুয়ো। এদিকে চাকরি পাওয়া তিনজনকে ডাকা হলেও তারা সেখানে যাননি। পরে তাদের খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। এই আবহে এখন সব নিযুক্ত শিক্ষকদেরই রি-ভেরিফিকেশনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।

উল্লেখ্য, লাগামছাড়া দুর্নীতির মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু হয়েছিল বিহারে। আগের মতো পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আর শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি এবারে। এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরোটাই একটি কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়। নয়া নিয়মে, সেন্ট্রাল টিচার্স এলিজিবিটি টেস্ট (কেন্দ্রীয় সিটেট) এবং স্টেট টিচার্স এলিজিবিটি টেস্ট (রাজ্য সিটেট) উত্তীর্ণ প্রার্থীরা সেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে এর মধ্যেও উঠে এসেছে জালিয়াতির অভিযোগ।

এদিকে পড়শি রাজ্যে শিক্ষকদের জন্য নয়া পে স্কেলের ঘোষণা করা হয় গত এপ্রিল মাসে। তবে সেই পে স্কেল এবং নয়া নিয়মে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০০৬ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বদল করেছে সরকার। এরপর থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়নি। নয়া নিয়মেও এর কোনও উল্লেখ নেই। প্রসঙ্গত, সরকারি শিক্ষকদের নতুন পে স্কেল কার্যকর করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল বিহার সরকার। এই আবহে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সম্প্রতি ১.২ লাখ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তাঁদের জন্য নতুন পে স্কেল কার্যকর করা হয়েছে। অভিযোগ, বর্তমানে যে ৪ লাখ সরকারি শিক্ষক পঞ্চায়িত রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের থেকে অনেকটা বেশি বেতন পাবেন বিপিএসসি-র মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা। তবে এবার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)