‘গভীরভাবে মর্মাহত…’ জাপান থেকে দেশে ফিরেই কী বললেন জুনিয়র এনটিআর ?

‘গভীরভাবে মর্মাহত…’ জাপান থেকে দেশে ফিরেই কী বললেন জুনিয়র এনটিআর ?

নয়াদিল্লি: বেশ কিছুদিন আগেই পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে জাপানে গিয়েছিলেন দক্ষিণী তারকা জুনিয়র এনটিআর (Jr NTR)। বড়দিন এবং নববর্ষের আবহে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে অবসর সময় কাটাতে গিয়েও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হলেন জুনিয়র এনটিআর। সোমবার নববর্ষের দিনে জাপানে বেশ কয়েকবার শক্তিশালী ভূকম্পন (Japan Earthquake) অনুভূত হয় আর সেই বিপজ্জনক আবহের মধ্যেই নিরাপদে দেশে ফিরে আসেন অভিনেতা ও তাঁর পরিবার। দেশে ফিরে এক্স হ্যান্ডলে ভূকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান জুনিয়র এনটিআর।

ভূমিকম্পের কবলে জুনিয়র এনটিআর

নববর্ষের প্রথম দিনেই তীব্র ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান। ভূমিকম্পের পরেই জাপান জুড়ে সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। সুনামির আশঙ্কায় ইতিমধ্যে খালি করে দেওয়া হয়েছে পশ্চিম উপকূল। ভূমিকম্পের এপিসেন্টারের ৩০০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যেই সুনামির আশঙ্কা সবথেকে বেশি। আর এই আবহে জাপানেই ছুটি কাটাচ্ছিলেন জুনিয়র এনটিআর (Jr NTR)। সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী প্রণতি এবং দুই পুত্র ভার্গব এবং অভয়।

নিরাপদে ফেরা

নিরাপদে ভূমিকম্পের মধ্যেই দেশে ফিরে এক্স হ্যান্ডলে অভিনেতা লেখেন, ‘জাপান থেকে আজ দেশে ফিরেছি। ভূমিকম্পের ভয়াবহতায় গভীরভাবে মর্মাহত আমি। গত সপ্তাহের পুরো সময়টাই আমি জাপানে কাটিয়েছি। সেখানে এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমার প্রাণ কাঁদছে। তবে একইসঙ্গে সেখানকার মানুষের সহনশীলতা দেখে আমি মুগ্ধ। আশা করছি খুব দ্রুত অবস্থার উন্নতি হবে।’ এই পোস্টের শেষে ‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা লেখেন, ‘শক্ত থাকো জাপান, ভেঙে পোড়ো না’।

জুনিয়র এনটিআরের (Jr NTR) জন্মদিনের আবহে কোরাতালা শিবা পরিচালিত ‘দেবারা’ ছবিতে তাঁর লুক প্রকাশ্যে আনেন নির্মাতারা। পোস্টারে তাঁকে কালো পোশাকে দেখা যায়, সঙ্গে হাতে রক্তাক্ত বর্শা। সমুদ্রের পাথরের ওপর তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে এই প্রথম দক্ষিণী দুনিয়ায় ডেবিউ করবেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) এবং জাহ্নবী কপূর (Jahnvi Kapoor)।

জাপানের ভূমিকম্প

এই প্রথম নয়, মাত্র দিন চারেক আগেই জাপানে পর পর তীব্র কম্পন (Japan Earthquake) অনুভূত হয়। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কুরলি দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় পর পর দু’বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫ এবং ৫.০। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও সেখানে ভূমিকম্প হয়। সেবার রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৫। ফিলিপিন্সের দক্ষিণের মিনদানাওয়ে ভূমিকম্প হয়, তার জেরে কেঁপে ওঠে জাপানও। তার আগে, মে মাসেও ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে জাপানের পশ্চিমের ইশিকাওয়া এলাকা। তাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহত হন বহু মানুষজন। ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং অগাস্ট মাসেও ভূমিকম্প হয়েছে জাপানে।

(Feed Source: abplive.com)