৯০০ কর্মীর বেতন বন্ধ, ২০০০-কে ‘জোর করে বদলি’, বিস্ফোর অভিযোগ TCS-এর বিরুদ্ধে

৯০০ কর্মীর বেতন বন্ধ, ২০০০-কে ‘জোর করে বদলি’, বিস্ফোর অভিযোগ TCS-এর বিরুদ্ধে

টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের বিরুদ্ধে শ’য়ে শ’য়ে কর্মীর বেতন আটকে রাখা এবং হাজার হাজার কর্মীকে জোর করে বদলি করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা প্রসঙ্গ টিসিএস-কে নোটিশ পাঠিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের শ্রম দফতর। উল্লেখ্য, কর্মীদের বদলির বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। এবার সরকার এই নিয়ে নোটিশ পাঠাল টিসিএস-কে। এর আগে সম্প্রতি কর্মীদের ইমেল পাঠিয়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’কে কার্যত বিদায় জানিয়েছে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস। এরই মাঝে ‘যথেষ্ঠ সময় না দিয়ে’ সংস্থার প্রায় ২০০০ কর্মীকে বদলির নোটিশ ধরিয়েছিল টিসিএস। আইটি কর্মচারীদের ইউনিয়ন ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট এই অভিযোগ জানিয়ে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিসিএস-কে নোটিশ পাঠাল মহারাষ্ট্র সরকারের শ্রম দফতর।

এদিকে বদলির নির্দেশ অনুযায়ী নতুন অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট না করতে পারায় প্রায় ৯০০ কর্মীর বেতন আটকে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে টিসিএস-এর বিরুদ্ধে। সংস্থার এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হয়েছে ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট। অভিযোগ করা হচ্ছে, অনৈতিক উপায়ে টিসিএস কর্মীদের বদলির নির্দেশ মেনে নিতে বাধ্য করছে বা চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বদলির নিয়ম মানতে না পারা কিছু কিছু কর্মীদের ডিসেম্বর মাসের বেতন বাবদ মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়েছে টিসিএস। এছাড়া অনেক কর্মীরই পুরো বেতনই আটকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে অফিশিয়াল অ্যাটেন্ডেন্স এবং টাইম শিট পোরটালের অ্যাক্সেসও কেড়ে নেওয়া হয়েছে এই সব কর্মীর থেকে। এই আবহে মহারাষ্ট্র সরকার টিসিএস-কে এই বিষয়ে একটি যৌথ বৈঠকে হাজির হতে বলেছে আগামী ১৮ জানুয়ারি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, অগস্ট থেকে কর্মীদের বদলির ইমেল পাঠিয়ে চলেছে টিসিএস। সংশ্লিষ্ট কর্মীর সুবিধা-অসুবিধার কথা নাম ভেবেই নাকি এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে কর্মীদের বদলি বাবদ খরচ সংস্থা বহন করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে বদলির নোটিশ না মানা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল টিসিএস কর্তৃপক্ষ। এদিকে অক্টোবর থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পালা তুলে দেয় টিসিএস। সংস্থার কর্মীদের করা একটি ইমেলে শীর্ষ কর্তৃপক্ষ জানায়, ড্রেস কোড মেনে সপ্তাহে পাঁচদিন করে অফিসে এসে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে খাতায় কলমে এখনও ‘হাইব্রিড’ মডেল আছে সংস্থায়। অর্থাৎ, প্রয়োজনে বাড়ি থেকেও কাজ করা যাবে। প্রসঙ্গত, কোভিডকালে সব আইটি সংস্থাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর রীতি চালু করেছিল। কোভিড চলে গেলেও সেই রীতি থেকে গিয়েছিল। পরে ‘হাইব্রিড’ মোড শুরু হয়। তবে ধীরে ধীরে সব আইটি সংস্থাই ফের অফিস সংস্কৃতিতে ফিরতে চাইছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)