Chinese pneumonia: কলকাতায় হানা আর এক চাইনিজ ভাইরাসের, জানুন কতটা মারাত্মক?

Chinese pneumonia: কলকাতায় হানা আর এক চাইনিজ ভাইরাসের, জানুন কতটা মারাত্মক?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মনে করা হয় করোনার উৎপত্তি চিনের শহর উহান থেকেই। একেবারে শুরু দিকে ভারত বিষয়টি ততটা গুরুত্ব না দিলেও তার পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে হাজরা হাজর মানুষের মৃত্যু। এরমধ্যেই গত নভেম্বরে উত্তর চিনে শিশু, কিশোরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এক অজানা নিউমোনিয়া। শয়ে শয়ে শিশু আক্রান্ত হয় এই রহস্যময় নিউমোনিয়ায়। এমনকী কলকাতায় এসে গিয়েছে এই চাইনিজ নিউমোনিয়া।

সংক্রমণের শিকার বাঁশদ্রোণীর বালিকা। প্রচন্ড জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ঠের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথম দিকে এটিকে বিশেষ ধরনের নিউমোনিয়া বা অজানা নিউমোনিয়া বলা হচ্ছিল। তার পরে এটিকে হোয়াইট লাং সিনড্রোমও বলা হয়। জানা গিয়েছে, এই অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের জ্বর হচ্ছে, ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তবে কাশি হচ্ছে না আক্রান্ত শিশুদের। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সেভাবে ছড়াচ্ছে না এই রোগ।

এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, চাইনিজ ওয়াকিং নিউমোনিয়া কোনও একটি ভাইরাস নয়, একাধিক ভাইরাসের প্রভাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। যেমন, সার্স-কোভিড টু, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা, এইচনাইনএনটু, রেসপিরেটরি সিনিক্যাল ভাইরা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া ভাইরাসের সম্মিলিত সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শরীরে পড়ছে সাংঘাতিক প্রভাব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ-ও জানায় যে, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তর চিনে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এই পরিসংখ্যানটাকে গত তিন বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হলে দেখা যাবে, এবার রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সাধারণ নিউমোনিয়ার মতোই এতে ফুসফুসে সংক্রমণ ও জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে। বমি ও ডায়ারিয়ার সমস্যাও দেখা যাচ্ছে একইসঙ্গে। একাধিক ভাইরাসের আক্রমণ দুর্বল করে দিচ্ছে শরীরকে।

(Feed Source: zeenews.com)