যা যা হল…
কমান্ডো-অভিযানের আগে ছিনতাই করা জাহাজটির দখল ছাড়ার জন্য জলদস্যুদের দিকে হেলিকপ্টার মারফৎ সতর্কবার্তা পাঠায় আইএনএস চেন্নাই। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির ভারতীয় সমস্ত কর্মী সুস্থ রয়েছেন। ব্রাজিলের Port Du Aco থেকে বাহরাইনের দিকে যাচ্ছিল ‘MV Lila Norfolk’ নামে ওই জাহাজটি। সোমালিয়ার ৩০০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে থাকার সময় জলদস্যুরা সেটি ছিনতাই করে।
বাণিজ্যিক কাজে পাড়ি দেওয়া ভেসেলটি ‘ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন’-এ বিপদসঙ্কেত পাঠিয়েছিল, ৪ জানুয়ারি সন্ধে নাগাদ, বন্দুকধারী ৫-৬ জন পরিচয়হীন ব্যক্তি ভেসেলে উঠে পড়েছে। সেই বার্তা পৌঁছয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। নজরদারির দায়িত্বে থাকা আইএনএস চেন্নাইয়ের অভিমুখ ঘোরানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি নৌসেনা কর্তৃপক্ষ। সাহায্য়ের জন্য সমুদ্রের জল কেটে এগোতে শুরু করে নৌসেনার ডেস্ট্রয়ার। প্রথমে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার উড়ে গিয়ে ভেসেলটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে। জাহাজ খালি করতে বলা হয় ছিনতাইকারীদের। তার পর এদিনের অভিযান।
ভারতের প্রস্তুতি…
একের পর এক জাহাজে হামলার ঘটনা দেখে সমুদ্রে নজরদারির পাশাপাশি হানা প্রতিহত করার জন্য গত মাস থেকে নিজেদের জলসীমায় মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ভারত। বিশেষত. ভারতের উপকূলের কাছে যে ভাবে একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে ইরানের দিকে আঙুল তোলে আমেরিকা, তার পর থেকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে চেয়েছিল নয়াদিল্লি। তার উপর আবার ইয়েমেনে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি-জঙ্গিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে লোহিত সাগরে একের পর এক ভেসেলের নির্ধারিত পথ বদলাতে হয়েছে। সব মিলিয়ে জলসীমা তথা সার্বিক ভাবে জলপথ নিয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকার সময় এটি, মনে করে ভারত। সেই অনুযায়ী নজর দেওয়া হয়েছে নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনে।
(Feed Source: abplive.com)