শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা । এদিনই ১৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাকে গাড়িতে তোলার সময় আবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। মূল নেতাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলার সময়, তুলকালাম বেধে যায়। মহিলাদের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়ে ED-র গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করায় পিছু হঠে বিক্ষোভকারীরা।
এরপর ধৃত তৃণমূল নেতা ও ২ জন ইডি অফিসারকে নিয়ে কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায় ED-র গাড়ি। পিছনে ED-র আরেকটি গাড়ির কাচ ইট মেরে ভেঙে দেন ধৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।
ED সূত্রে খবর, শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা, বাজেয়াপ্ত বেশ কিছু নথিও। গতকাল রাজ্যের ১২টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় ED। তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর একাধিক ঠিকানা ও আত্মীয়দের বাড়িতে হানা দেন ED আধিকারিকরা। বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি ও তাঁর শ্বশুরবাড়ি, গাইঘাটায় তাঁর ভাই মলয় আঢ্যর আইসক্রিম কারখানা, শঙ্কর আঢ্যর দুই কর্মচারীর বাড়ির পাশাপাশি বাঘাযতীনে তৃণমূল নেতার চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতেও অভিযান চালান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। পাশাপাশি অভিযান চালানো হয় মেট্রোপলিটনে শঙ্কর আঢ্যর সহযোগী বাবলু দাসের ফ্ল্যাটেও।
শনিবাগ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হতে পারে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে।
শনিবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ED আধিকারিকদের ওপর বর্বর হামলা চালায়। মাথা ফটে গিয়ে ঝরে রক্ত। প্রাণ বাঁচাতে অন্য় গাড়ি, অটোয় চড়ে পালাতে হন ইডি আধিকারিকরা। ভয়াবহভাবে আক্তান্ত হয় সংবাদ মাধ্যম।
(Feed Source: abplive.com)