বাংলার রেফারিংয়ে খুশির খবর, ফিফা স্বীকৃতি পেলেন উজ্জ্বল, রয়েছেন আরও অনেকে

বাংলার রেফারিংয়ে খুশির খবর, ফিফা স্বীকৃতি পেলেন উজ্জ্বল, রয়েছেন আরও অনেকে

একদিকে যখন চলতি আইএসএল মরশুমে রেফারিং ঘিরে উঠেছে নানা অভিযোগ, ঠিক তখনই একটি নজিরবিহীন কাণ্ড করে দেখালেন এক বাঙালি। নিজের দক্ষতার জেরে একটি বড় পুরস্কার অর্জন করলেন তিনি। ফিফার সহকারি রেফারি হলেন বাংলার উজ্জ্বল হালদার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখেন। খুশি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে এই পদের জন্য তিনি বহু লড়াই করেছেন এবং অবশেষে ফল পাওয়াতে তিনি খুশি। পাশাপাশি, ১৩ বছর ধরে সংঘর্ষের কথাও তুলে ধরে তিনি।

বছরের শুরুতে প্রকাশিত হলো ২০২৪ সালের ফিফার রেফারিং প্যানেল এবং তাতে জায়গা করেন কল্যাণীর উজ্জল হালদার। শুধু উজ্জ্বল নয়, ফিফার এই প্যানেলে জায়গা পান অন্য অনেক বাঙালিও। রেফারি তালিকায় জায়গা পান প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায় ও কণিকা বর্মন এবং সহকারী রেফারি হিসেবে বেছে নেওয়া হয় অসিত সরকার ও সমর পালকে। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি উজ্জ্বল।

তিনি বলেন, ‘এই দিনটির জন্য আমাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে এবং অনেক বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু অবশেষে আজ আমার স্বপ্ন সত্যি হল। আজ আমি খুব খুশি এই অনুভূতিটাই আলাদা রকমের। এটার আনন্দ আমি বলে বোঝাতে পারবো না।’ পাশাপাশি, কিভাবে এই পদ পেয়েছেন সেই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি। উজ্জ্বলের বক্তব্য, ‘এটার জন্য আমি বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। ১৩ বছর আগের ঘটনা। ২০১১ সাল থেকে আমার এই লড়াই শুরু। আমি সহকারি রেফারির কাজ শুরু করেছিলাম ফিফার প্যানেলে নাম তোলার লক্ষ্য নিয়ে। আমার প্রথম বড় সুযোগ আছে ২০১৫ সালে। সেই বছর প্রথমবার জাতীয় পর্যায়ে ম্যাচ খেলানোর সুযোগ পাই আমি। রইল কথা আজকের, বছরের শুরুর দিকে এমন একটা ভালো সংবাদ পেয়ে আমি সত্যিই খুব খুশি। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিনের চেষ্টার আজ ফল পেয়েছি।’

উল্লেখ্য, ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল উজ্জ্বল কিন্তু অবশেষে তিনি সহকারী রেফারি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে উজ্জ্বল। ছোটবেলায় হারিয়েছেন বাবাকে এবং তাঁর মা একটি চায়ের দোকান চালান। সময় পেলে তিনিও হাত লাগান সেই দোকানে। এক সময় লাইন্সম্যান হয়ে ৪৫০ টাকা করে তিনি পেতেন ম্যাচ পিছু। পুরনো সেই দিনের কথাই এখন মনে পড়ছে ফিফার এই রেফারির।

(Feed Source: hindustantimes.com)