DYFI-এর ডাকে আজ ব্রিগেড সমাবেশ

DYFI-এর ডাকে আজ ব্রিগেড সমাবেশ
কলকাতা: আজ ব্রিগেড সমাবেশ করবে DYFI। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্রিগেডে আসবে ৭টি মিছিল। ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রার পর এবার ব্রিগেডে শক্তি প্রদর্শন করবে সিপিএমের (CPM) যুব সংগঠন। ময়দান ভরাতে তুঙ্গে উঠেছে তৎপরতা।

বাম যুব সংগঠনের ব্রিগেড: DYFI-এর উল্টো ব্রিগেড থেকে, লোকসভায় উলটপুরাণের আশায় সিপিএম। বিগত লোকসভা-বিধানসভা ভোটে শূন্য ঝুলির ট্র্যাডিশন কাটাতে, DYFI-এর ব্রিগেডকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা। ইনসাফের দাবিতে ২২০০ কিলোমিটার পথ পার করেছেন সিপিএমের যুব সংগঠনের নেতা-নেত্রী-কর্মী-সমর্থকরা। ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রার পর রবিবার ব্রিগেডে শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছে DYFI. হাইভোল্টেজ লোকসভা ভোটের আগে, রাজ্য়জোড়া কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “ব্রিগেড তার ছন্দ খুঁজে পাবে। মাঝখানে যে ছন্দপতন হয়েছে রাজ্যে রাজনীতিতে, সংস্কৃতিতে, শিক্ষায়, সাহিত্যে, শিল্পে, প্রশাসনে, সেই ছন্দপতন রোধ করার জন্য যুবরা শপথ নেবে, জনগণ তাদের সাথ দেবে।’’

ইনসাফ ব্রিগেড ব্যানার টাঙানো মূল মঞ্চটি হবে দৈর্ঘ্যে ৩২ ফুট ও চওড়ায় ২৪ ফুট। দ্বি-স্তরীয় মূল মঞ্চে থাকবে চার ফুট বাই চার ফুটের রস্টাম।এখানেই বক্তব্য রাখবেন নেতা, নেত্রীরা। মূল মঞ্চের ডান দিক ও বাঁ দিকে দৈর্ঘ্যে ৪০ ফুট ও চওড়ায় ৪০ ফুটের দুটি আলাদা মঞ্চ থাকছে। এই মঞ্চ দুটিতে থাকবেন মৃত বাম কর্মীদের পরিবারের সদস্য ও পার্টি নেতৃত্ব। ব্রিগেডজুড়ে এবং আশেপাশের রাস্তায় লাগানো হচ্ছে ৬৫০ মাইক।

ব্রিগেড সমাবেশে বক্তার তালিকায় নাম রয়েছেন,সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, DYFI-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ও DYFI-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্রিগেডে আসবে ৭টি মিছিল। শিয়ালদা স্টেশন, হাওড়া স্টেশন, শ্যামবাজার, হাজরা,পার্ক সার্কাস, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন,সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ব্রিগেডমুখ হবে মিছিল।

গতকাল থেকেই দূরের জেলাগুলি থেকে আসতে শুরু করেছেন DYFI-এর কর্মী সমর্থকরা। এতদিন বাংলার মানুষ ব্রিগেডে শুধু রাজনৈতিক দলগুলিকে সমাবেশ করতে দেখেছে। তবে এবার কোনও রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের ডাকে ব্রিগেডে সমাবেশ হচ্ছে। তাই ময়দান ভরানোটা ডিওয়াইএফআইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১১-র পর থেকেই রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের। ২০১৯-এর লোকসভা ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের শূন্য় হয়ে যায় সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার প্রশ্ন উঠছে, রবিবার কি ব্রিগেড ভরাতে পারবে DYFI? ব্রিগেড ভর্তি হলেও ভোটবাক্সে কি প্রভাব পড়বে? DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা বলছেন, তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে বিডিওকে ব্যালট খেতে কেন পাঠিয়েছিলেন? এতই যখন সাহস কলেজ ভোটগুলি কেন বন্ধ করে রেখেছে? সমবায়ের যা ভোট হচ্ছে, তাতে তো তৃণমূল কুপকাত, বিজেপির তো সেখানে টিকিটই গলে না।”

(Feed Source: abplive.com)