যা জানা গেল…
ঘটনায় মূল অভিযোগের তির ছিল মরিয়ম শিউনার দিকে। অভিযোগ, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে ‘জোকার’ ও ‘ইজরায়েলের হাতের পুতুল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হালে লাক্ষাদ্বীপ-সফরে যান। সেই সফর ঘিরেই এই কটাক্ষ-বাণ তাঁর, অভিযোগ ওঠে। একই ধরনের আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ ছিল মলদ্বীপের বাকি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়। এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে এক ভারতীয় মলদ্বীপকে ‘চিনের হাতের পুতুল’ বলে পাল্টা কটাক্ষ করায় গোটা বিষয়টি নিয়ে আরও বড় করে আলোচনা শুরু হয়। ওই ব্যক্তিই লাক্ষাদ্বীপকে, মলদ্বীপের তুলনায় উন্নত পর্যটনস্থল বলে দাবি করেন। দু-পক্ষের টানাপড়েন অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায় যখন একের পর এক বলি-তারকা মলদ্বীপের মন্ত্রীদের এই ধরনের আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে পোস্ট দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অক্ষয় কুমার থেকে সলমন খান, জন আব্রাহাম থেকে শ্রদ্ধা কপূর, সকলেরই দাবি ছিল একটাই। মলদ্বীপ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও এই ‘অপমান’ মেনে নেওয়া হবে না।
শুধু যে ভারতের কাছ থেকে সমালোচনা ধেয়ে আসে তা নয়। মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদও সাফ দাবি করেন, মহম্মদ মুইজ্জু-র সরকারকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে নিজেদের অবস্থানগত দূরত্ব স্পষ্ট করে জানাতে হবে। তার পর, রবিবার বিকেলে একটি বিবৃতি দিয়েছিল মলদ্বীপ।
বিবৃতিতে যা বলা হয়…
মলদ্বীপ সরকারের তরফে ওই বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগের সময় গণতান্ত্রিকতার পাশাপাশি ও দায়িত্ববোধের বিষয়টিও মাথায় রাখা হবে, এমন ভাবে তা ব্যবহার করা যাতে মলদ্বীপ ও তার আন্তর্জাতিক সঙ্গীদের মধ্যে বিদ্বেষ ও নেতিবাচকতার আবহ তৈরি না হয়, এমনই আশা করি আমরা।’ এতেই শেষ নয়। বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছিল, যে বা যারা এই ধরনের আপত্তিজনক মন্তব্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না সরকার। রাত পেরোল না। কড়া পদক্ষেপের বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিল তারা।
(Feed Source: abplive.com)