বিলকিস বানো মামলায় ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বড় ধাক্কা গুজরাত সরকারের

বিলকিস বানো মামলায় ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বড় ধাক্কা গুজরাত সরকারের
নয়াদিল্লি: বিলকিস বানো মামলায় ( Bilkis Bano Case) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে বড় ধাক্কা গুজরাত সরকারের ( Gujrat Government )। ১১ জন দোষী সাব্যস্তর মুক্তির সিদ্ধান্ত রদ সর্বোচ্চ আদালতের। দোষীদের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর বিলকিস বানো মামলায় ১১জন দোষীকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত রদ করল দেশের শীর্ষ আদালত। ‘সুপ্রিম’ নির্দেশের পর এখন দোষী ১১ জনকে ফিরতে হবে জেলে।

বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন দোষী সাব্যস্তর মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিজ করল সর্বোচ্চ আদালত। ২০২২-এ এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। ছাড়া পেয়ে যায় দোষীরা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান বিলকিস বানো। এদিন গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকেই এবার ফিরতে হবে জেলে। ২ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০০২ সালে গুজরাতের গোধরাকাণ্ডের সময় গণধর্ষণের পর বিলকিস বানোর পরিবারের সদস্যদের হত্যার অভিযোগ ওঠে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর গুজরাত জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বিলকিস। কোলের সন্তান এবং পরিবারের মোট ১৫ সদস্যের সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ৩ মার্চ ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় কাস্তে, তলোয়ার, লাঠি নিয়ে ২০-৩০ জনের দল তাঁদের উপর চড়াও হয়। গণধর্ষণের শিকার হন বিলকিস। বিলকিসের চোখের সামনে পরিবারের সাত সদস্যকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। খুন করা হয় বিলকিসের শিশু সন্তানকেও। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছ’জন। ২০০৪ সালে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আমদাবাদে শুরু হয় শুনানি। কিন্তু সেখানে তদন্ত হলে, প্রমাণ লোপাট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিলকিস।

(Feed Source: abplive.com)