বিশাখাপত্তনমে রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ বি-তে রাজাশেখরা রেড্ডি এসিএ ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদারের দুরন্ত শতরানের ভর করে ৪০৯ রানে বোর্ডে তুলেছিল বাংলা। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে ভুঁইয়ের দুরন্ত শতরানে মাত্র ৭০ রানে পিছিয়ে ছিল অন্ধ্র। হাতে ছিল চার উইকেট। ম্যাচের শেষদিনের শুরুর দিকে উইকেট তোলার প্রয়োজন ছিল বাংলার।
তবে রিকি ভুঁইয়ের অনবদ্য ১৭৫ রানের ইনিংসে বাংলাকে পিছনে ফেলে দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ। চতুর্থ দিনের শুরুতে বাংলার বোলাররা উইকেটই নিতে পারেননি। সপ্তম উইকেটে শোয়েব মহম্মদ খানের সঙ্গে রিকি ভুঁই ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই পার্টনারশিপই প্রথম ইনিংসে অন্ধ্রর লিড নেওয়া নিশ্চিত করে দেয়। অবশেষে যখন এই পার্টনারশিপ ভাঙে, ততক্ষণে বাংলার প্রথম ইনিংসের রান টপকে গিয়েছে অন্ধ্র। শোয়েব ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। রিকি ভুঁই একেবারে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। তিনিই সবার শেষে আউট হন।
বাংলার ৪০৯ রানে জবাবে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ৪৪৫ রানে। বাংলার হয়ে এই ম্যাচেই নিজের অভিষেক ঘটানো মহম্মদ কাইফ সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। এছাড়া করণ লাল, আকাশ দীপ দুইটি করে এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক একটি উইকেট নেন। খুব আহামরি কিছু না হলে, ম্যাচ ড্রয়ের পথেই এগোত। দিনের শেষে ড্রয়ই হল ম্যাচ।
বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে এক উইকেটের বিনিময়ে ৮২ রান তোলে। সৌরভ পাল ৩০ রান করেন। সায়ন ঘোষ ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন, সাত রানে নট আউট ছিলেন সুদীপ কুমার ঘরামি। প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেল অন্ধ্র। অপরদিকে, মাত্র এক পয়েন্ট নিয়েই বাংলাকে সন্তুষ্ট থাকতে হল। বাংলা এরপর শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলতে নামবে।
(Feed Source: abplive.com)