২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে, গঙ্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে খাস কলকাতায়। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি আগেই শুরু হয়েছিল।
এবার, কলকাতা পুরসভা এবং একটি ট্রাস্টের উদ্যোগে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি গঙ্গা পুজো ও ভোগ বিতরণ করা হবে। বাবুঘাট চত্বরে এনিয়ে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ বলেছেন, ‘মন্দির তো হয়েছে, ওখানে গঙ্গাপুজো হবে…বহু বিদেশি আসছেন দেখার জন্য। ট্রাস্ট টাকা খরচ করছে। পুরসভা তো শুধু অনুমতি দিচ্ছে।’ যদিও বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের কথায়, কর্মীদের টাকা দিতে পারে না, এসব করছে।
এদিকে, গঙ্গা পুজো এবং গঙ্গা আরতি উপলক্ষে ১৪ জানুয়ারি উপস্থিত থাকবেন বিদেশি অতিথিরাও।
অন্যদিকে, জমজমাট হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। কথায় বলে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার৷ তিথি নক্ষত্রের হিসাবে এই গঙ্গাসাগরেই এবার পুণ্যস্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ ২ দিন, দুই সময়ে। পুরাণ মতে, সগর রাজার ৬০ হাজার সন্তানকে জীবন ফিরিয়ে দিতে ভগীরথ মর্ত্যলোকে গঙ্গাকে নিয়ে এসেছিলেন৷ তাই মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা এবং সাগরের সঙ্গমে স্নান করলে অসীম পুণ্যের কথা বর্ণিত হয়েছে পুরানে৷ পূণ্যলাভের আশায় হাজার হাজার মাইল ছুটে আসা ভক্তকূল, ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী, দেশি-বিদেশি অতিথি, সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ঢল।
জোরদার করা হয়েছে সাগরমেলার নিরাপত্তা। জলপথের পাশাপাশি, নজরদারি চলছে আকাশপথেও।
(Feed Source: abplive.com)