ভারতে সার্ভিকাল ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই গিয়েছে। যা ভারতীয়দের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রাম (আইসিএমআর-এনসিআরপি) অনুসারে, দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০২২ সালে ১৪.৬ লক্ষ থেকে বেড়ে
সার্ভিকাল ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হল এই রোগ সম্পর্কে সঠিক শিক্ষার অভাব এবং এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা এবং শিক্ষার অভাব।
হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি), যা জরায়ুর ক্যান্সারের প্রধান কারণ, এ সম্পর্কে ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জ্ঞানের অভাব রয়েছে। রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব এবং এই রোগে মৃত্যুর হার উচ্চ হওয়ায় ঠিক সময় চিকিৎসা শুরু করা হয় না যার ফলে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
আর্থ-সামাজিক কারণগুলিও সার্ভিকাল ক্যান্সারের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম্ন-আয়ের অঞ্চলে বসবাসকারী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া প্রায়শই কঠিন, বিশেষত রুটিন স্ক্রিনিং এবং এইচপিভি ভ্যাকসিনের মতো প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা তারা নিতে পারে না। অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং গ্রামীণ অঞ্চলে তহবিলের অভাব সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তোলে, যার ফলে তাৎক্ষনিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
নারীর স্বাস্থ্যের প্রতি সাংস্কৃতিক রীতিনীতি এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও রোগ নির্ণয় করতে দেরি হয়ে যায়। উপরন্তু, বাল্যবিবাহ এবং একাধিক যৌন সম্পর্ক এইচপিভি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
যদিও স্ক্রিনিং সুবিধা এবং টিকাকরণ সহজেই উপলব্ধ,কিন্তু এ সম্পর্কে জানেন না অনেকেই। এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারাভিযান কম হয়। ভারতে সার্ভিকাল ক্যান্সার রোধ করতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং এই রোগ প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সচেতনতার অভাব, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো সহ বিভিন্ন কারণে ভারতে সার্ভিকাল ক্যান্সার বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই রোগ সম্পর্কে সঠিক প্রচার এবং সচেতনতার প্রয়োজন।
(Feed Source: hindustantimes.com)