গত কয়েক মাস ধরেই চর্চায় থেকেছে অভিনেত্রী নবনীতা দাসের ব্যক্তিগত জীবন। জিতু কমলের সঙ্গে নবনীতার বিয়ে ভাঙা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তবে সেই বিতর্ক দূরে রেখে কাজে মন দিয়েছিলেন নবনীতা। বর্তমানে সান বাংলার ‘বিয়ের ফুল’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। কিন্তু বছরের শুরুতেই মন খারাপ করা খবর। এই মাসেই বন্ধ হচ্ছে ‘বিয়ের ফুল’!

হ্যাঁ, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার হাতে এসে এক্সক্লুসিভ আপটেড। সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখেই শেষবার সম্প্রচারিত হবে নবনীতা দাস, রাজা গোস্বামী অভিনীত এই মেগা সিরিয়াল। সান বাংলার টিআরপি-র নিরিখেও প্রাইমটাইমে ভালো ফল করতে পারেনি এই মেগা। তাই স্লট বদল করা হয়েছিল মাস কয়েক আগে। সম্প্রতি গল্পে এসেছে নতুন টুইস্ট। মা হতে চলেছেন কলি। তাঁর সাধ খাওয়ার ছবি দিন কয়েক আগেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালে। তার মাঝেই জানা গেল সিরিয়াল বন্ধের খবর।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল বিয়ের ফুল। পাঁচ নাতিকে নিয়ে আনন্দে রয়ছে চিরকুমার দাদু। তিনি চান না কোনও নাতির বিয়ে হোক। তাঁর ধারণা ছিল ব্রহ্মচারী পরিবারে বিয়ে আসলে অভিশাপ। সেই ব্রহ্মাচারী নাতিদের বিয়ে না করার পণ ভাঙানোর দায়িত্ব নিয়েছিল বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ইচ্ছে (একতা) এবং পাড়ার আরও এক সুন্দরী কলি। সেই দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পূরণ করেছেন তাঁরা।

পর্দায় মা হতে চলার সুখবর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নবনীতা জানিয়েছিলেন ফেক বেবি বাম্প লাগিয়ে শ্যুটিং করা বেশ কষ্টসাধ্য। অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেন-‘আমি ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মজীবন দুটোকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখি। বাড়িতও আমি কখনও কাজের জগতকে সঙ্গে করে নিয়ে যাই না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটা, বেবি বাম্পের শ্যুট করাটা খুবই কষ্টের। পেটের মধ্যে যেটা পরে থাকতে হয় খুবই অস্বস্তি হয়। একটা সিন করার পরই হয়তো সেটা খুলে অন্য একটা সিন করলাম। তাই ইমোশনাল হওয়ার জায়গাটাই থাকে না।’

২০১৯ সালের ৬ই মে অগ্নি সাক্ষী রেখে নবনীতাকে বিয়ে করেছিলেন জিতু। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। ২৯ জুন নবনীতা ফেসবুক পোস্টে জিতুর সঙ্গে বিচ্ছদের খবর জানান। এরপর সেপ্টেম্বরে তাঁদের ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে। জিতুর সঙ্গে ডিভোর্সের মাঝেই নবনীতার নতুন প্রেমের গুঞ্জনও চাউর হয়েছে, যদিও স্নেহালকে শুধুই নিজের বন্ধু বলেউ উল্লেখ করেছন নবনীতা।