সরকারি চাকরি পেতেই শিক্ষককে অপহরণ, জোর করে বিয়ে দিল পাত্রীর পরিবার

সরকারি চাকরি পেতেই শিক্ষককে অপহরণ, জোর করে বিয়ে দিল পাত্রীর পরিবার

সরকারি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাওয়াটা হল সৌভাগ্যের বিষয়। শিক্ষকের চাকরি পেয়ে গেলে আনন্দিত হয়ে ওঠাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি পেলে যুবকরা আর আনন্দে কাটাতে পাচ্ছেন না বিহারে, কার্যত আতঙ্কেই কাটাচ্ছেন। কারণ সরকারি চাকরি পাওয়া যুবকদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বিহারে এমন ঘটনা আবার বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে ফের একজন সরকারি শিক্ষককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিল পাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে জামুইয়ে। ওই শিক্ষকের নাম মুকেশ কুমার। বিহারে পকড়োয়া শাদি’র (জোরপূর্বক বিবাহ) ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার পরেই মুখেশকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল পাত্রী পূর্ণিমা কুমারীর পরিবার। এরপর সেখানে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। সরকারি চাকরি পাওয়ার পরেই তাকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতে মুকেশকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি খুশি নই। তুমি আমাকে জোর করে বিয়ে করলেও আমি সঙ্গে থাকব না।’ যদিও পূর্ণিমা মুকেশের দাবি অস্বীকার করেন। তাঁর পালটা দাবি, ২০১৫ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। চাকরি পাওয়ার পর মুকেশের আচরণ বদলে যায়। তিনি তাঁকে উপেক্ষা করতে শুরু করেন এবং সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন।

যদিও গিধোরের এসএইচও ব্রজভূষণ সিং কোনও অভিযোগ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান,পাত্রীর বাবার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দুই পরিবার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা করে নেবেন। উল্লেখ্য, গত বছর থেকে বিহারে অন্তত ৬ জনের এই ধরনের জোরপূর্বক বিয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। মুকেশ ছাড়াও গৌতম, বিনোদ কুমার, সত্যেন, শুভম কুমার এবং বৈশালীর অমিত কুমারের বিয়ে এরকম ভাবেই অপহরণ করে জোর করে দেওয়া হয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)